ঢামেক মর্গে ৭ মরদেহের ১ জনকে শনাক্তের দাবি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় নিহত ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে থাকা সাত মরদেহের মধ্যে একজনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। সেলিনা বেগম নামে এক নারী ওই মরদেহ তার স্বামী বলে দাবি করেছেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ওই নারী ও তার সঙ্গে থাকা তানভীর আহমেদ রাজু নামে এক ব্যক্তি মরদেহ শনাক্ত করেন। তারা জানান, নিহত ব্যক্তির নাম কাবিল হোসেন। তিনি মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন।

তানভীর আহমেদ রাজু জানান, কারওয়ান বাজার এলাকায় তাদের একটি অফিস আছে। সেই অফিসে নিহত কাবিলের স্ত্রী সেলিনা বেগম রান্নার কাজ করেন। সেই কারণেই তাকে সহযোগিতা করতে মর্গে এসেছেন।

তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট সকালে মানিকনগর বাসা থেকে কাবিল হোসেন বের হন। এর পর থেকে তিনি আর বাসায় ফিরে আসেননি। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর কোথাও পায়নি। গতকাল রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখতে পায় সাতটি মরদেহ এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের ইনচার্জ রামু দাস বলেন, ‘সবগুলো মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। মরদেহের ডিএনএ নমুনা শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে অনেক স্বজনরা আসলেও কেউ শনাক্ত করতে পারে নাই।

তিনি আরও বলেন, ‘আজ সন্ধ্যার দিকে মর্গে এসে এক নারী তার স্বামীর মরদেহ বলে দাবি করেন। ওই নারীকে শাহবাগ থানায় যোগাযোগ করতে বলেছি।’

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদ মুনসুর বলেন, ‘ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় নিহত কয়েকজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে আছে। এরমধ্যে ছয়টি মরদরহের সুরতহাল শাহবাগ থানা পুলিশ করেছে। মর্গে গিয়ে সেলিনা বেগম নামে এক নারী একটি মরদেহ তার স্বামীর বলে দাবি করেন। তবে তার দাবি কতটুকু যৌক্তিক বিষয়গুলো আমরা তদন্ত করছি।

শেষ খবর পাওয়া সেলিনা বেগমকে নিয়ে তানভীর আহমেদ রাজু ছাত্রআন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বাংলামোটর রূপায়ণ টাওয়ারে অবস্থান করছেন।

সারাবাংলা/এসএসআর/এইচআই

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ঢামেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন