জিএম কাদের এখন ভোল পালটানোর চেষ্টা করছেন: কাজী মামুন
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:০০ | আপডেট: ৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:০৮
ঢাকা: জাতীয় পার্টির রওশন পন্থি (একাংশ) মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ বলেছেন, ক্ষমতা লিপ্সু গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) দোসর থেকে এখন আবার রাতারাতি নিজের ভোল পালটিয়ে বিএনপির আস্থাভাজন হওয়ার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে যখন অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করা হলো, বিনা চিকিৎসায় যখন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়েছিলেন, তখন জিএম কাদের বিরোধীদলের নেতা ছিলেন। তখন তার বিবেক জাগ্রত না হলো না। এখন যখন দেশ-বিদেশ পতিত স্বৈরশাসক এবং তার দোসরদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার, তখন খালেদা জিয়ার প্রতি তার দরদ উথলে পড়ল। তখন তো এই অবিচারের বিরুদ্ধে একটি বক্তব্য বা বিবৃতিও দেন নাই।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে কাজী মামুন বলেন, ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে কীভাবে পল্লীবন্ধু এরশাদকে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল- তা জাতি অবগত। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মঞ্জুর হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলাও ছিল। তারপরও ওই মামলাকে পরোয়া না করে ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করার বিষয়ে অটল ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ আবারও যখন একতরফা নির্বাচনের ঘোষণা দিলো, তখন কিন্তু দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। জাতীয় পার্টির ৯০ শতাংশ নেতাকর্মী এ একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। চৌকস জিএম কাদেরও ব্যহ্যিকভাবে যখন নির্বাচনের বিরোধিতা করল তখন নেতাকর্মীরা ভেবেছিল জিএম কাদের আমাদের সেন্টিমেন্টের সঙ্গে একমত। কিন্তু তার আসল চেহারা প্রকাশ হলো যখন তার স্ত্রীর মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পরই তার রাতারাতি ভোল পালটানোর দৃশ্য দেখার পর।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২৪-এর নির্বাচন যদি জিএম কাদের বয়কট করত দেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন হতো। আওয়ামী লীগ এককভাবে নির্বাচন করতে পারত না। আর জুলাই-আগস্টে হাজার হাজার ছাত্রজনতার জীবনহানি ঘটতো না। এরআগেই দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হতো। শুধু তাই নয়, জুলাইয়ের শুরুর দিকে যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আওয়ামী লীগ গুলি চালিয়ে ছাত্রহত্যা শুরু করল তখনও যদি এর প্রতিবাদে জিএম কাদের সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতেন তাহলে হয়ত লাশের মিছিল এত দীর্ঘ হতো না। একই পথ ধরে চতুর জিএম কাদের আবারও ভোল পালটানোর রাজনীতি শুরু করেছে।
জিএম কাদেরের আসল রূপ আজ দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জাতির কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এইচআই