জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ৮টি চলচ্চিত্র
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:০০ | আপডেট: ৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩৯
ঢাকা: জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র। ৮ বিভাগে ৮টি মাঝারি দৈর্ঘ্যের ফিল্ম নির্মাণে ওয়ার্কশপ পরিচালনার জন্য ৮ জন চলচ্চিত্র পরিচালককে নির্বাচন করা হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘রিমেম্বারিং মনসুন রেভ্যুলেশন’ কর্মসূচির আওতায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে পরিচালকদের নাম ঘোষণা করেন এ বিষয়ে গঠিত সার্চ কমিটির সদস্য সুমন রহমান।
সুমন রহমান বলেন, সার্চ কমিটির লক্ষ্য ছিল আটজন চলচ্চিত্রকার নির্বাচন করা, যারা ২০২৫ সালে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে চলচ্চিত্র বিষয়ক কর্মশালা করে পরিচালনা করবেন এবং কর্মশালায় প্রশিক্ষিত জনবল নিয়ে আটটি চলচ্চিত্র তৈরি করবেন। তিনি আরো বলেন, নির্বাচিত পরিচালকরা হচ্ছেন- অনম বিশ্বাস, হুমায়রা বিলকিস, শঙ্খ দাশগুপ্ত, শাহীন দিল রিয়াজ, রবিউল আলম রবি, তাসমিয়াহ আফরিন মৌ ও মো. তাওকীর ইসলাম।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দুটি লক্ষ্য অর্জন করতে চাইছে জানিয়ে সুমন রহমান বলেন, প্রথমত, শিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঢাকার ও ঢাকার বাইরের আগ্রহী তরুণ জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ তৈরি করা এবং তাদের কর্মদক্ষতা তৈরি ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দেওয়া। দ্বিতীয়ত, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতাকে সরাসরি কাজে লাগানোর জন্য ওই প্রশিক্ষকদের সঙ্গেই চলচ্চিত্র নির্মাণে অংশগ্রহণ করা।
এসব কর্মশালা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য কোনো ছক বেঁধে দেয়া হয়নি। এতে করে শিল্পীরা তাদের নিজস্ব কর্মপদ্ধতি ও সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটাতে সমর্থ হবেন এবং শৈল্পিক, রাজনীতিমনস্ক, বৈপ্লবিক এবং তারুণ্যমন্ডিত শিল্পভাষা তৈরি করতে আরো স্বচ্ছন্দ হবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে যে দীর্ঘ দুঃসময় আর রক্তস্নাত জুলাই বিপ্লব পার হয়ে বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস ফেলছে, তার একটি শৈল্পিক ভাষ্য এসব চলচ্চিত্রে দেখতে পাবো বলে আমরা আশা করি। আমরা মনে করি, এসব কর্মশালা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়া ঢাকার বাইরের একটা বিরাট জনগোষ্ঠীকে এই শিল্পপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করবে এবং এই বিপ্লবোত্তর সময়ে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শিল্পসংস্কৃতির একটি নতুন ভাষ্যের সন্ধান দেবে।
এসময় সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সারওয়ার ফারুকী বলেন, আমরা দেখার চেষ্টা করেছি তাদের মধ্যে আগুনটা আছে কি না। এই আটজনই জানেন তাদের দিকে বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে। তারা যে কাজটি করবেন, সেই কাজের দিকেই সবাই তাকিয়ে আছেন। তারা এটার ওজন জানেন এবং তারা সেটা রক্ষা করবেন।
তিনি আরো বলেন, ‘তারা কী নির্মাণ করবেন, সে বিষয়ে আমরা তাদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি। এটা যেন আর একটা সরকারি কাজ হয়ে ব্যর্থতায় পর্যবসিত না হয়। আমরা চাই এ আটটি ছবি এনগেইজিং হোক। আমরা চাই ছবিগুলো আগামী দিনের চলচ্চিত্রের পথ দেখাবে।
এই চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার সম্পূর্ণ আর্থিক সহযোগিতা দেবে। এ ক্ষেত্রে কত খরচ হবে সেটি পরিচালক এবং সার্চ কমিটি মিলে ঠিক করবে। আগামী জুনের মধ্যে এ চলচ্চিত্র নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
সারাবাংলা/জেআর/এনজে