হাসান আরিফের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সুপ্রিম কোর্টের বিচার কার্যক্রম বন্ধ
২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫৫ | আপডেট: ২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:২৯
ঢাকা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশের সাবেক এটর্নি জেনারেল প্রয়াত এ এফ হাসান আরিফের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং সাবেক এটর্নি জেনারেল এ. এফ. হাসান আরিফ গত ২০ ডিসেম্বর ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে ২ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
অবকাশ, সরকার ঘোষিত ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ১৪ দিন পর বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও রোববার (৫ জানুয়ারি) থেকে পুনরায় নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
গত ২০ ডিসেম্বর বেলা ৩টা ১০ মিনিটে ৮৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে এ এফ হাসান আরিফ ইন্তেকাল করেন। গত ২৩ ডিসেম্বর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরশায়িত হন এ এফ হাসান আরিফ।
এ. এফ. হাসান আরিফের মৃত্যুতে গত ২৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়। রাষ্ট্রীয় শোক পালন উপলক্ষে দেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। এ দিন তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে প্রথমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছিলেন হাসান আরিফ। পরে তাকে ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।
তিনি ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা ছিলেন। এ এফ হাসান আরিফ তার কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৬৭ সালে ভারতের পশ্চিম বাংলার কলকাতা হাইকোর্ট থেকে। এরপর ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন।
সারাবাংলা/এনজে