Saturday 04 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাবির ‘ঘৃণাস্তম্ভের’ গ্রাফিতি মুছে দিল প্রশাসন, প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৫৬ | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:১৩

‘ঘৃণাস্তম্ভ’ থেকে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রাফিতি মুছে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যসংলগ্ন মেট্রোরেলের ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ থেকে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রাফিতি মুছে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদের অনুমতিতে মেট্রোরেলের কর্মীরা এটি মুছে ফেলেন। পরে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে মাঝপথে মোছার কাজ বন্ধ করা হয়।

মেট্রোরেলের রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন দুই পিলারের শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রাফিতি আঁকে ছাত্রলীগ। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্টে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর জনতা এই গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ, রক্তের প্রতীক স্বরূপ লাল রং, ইট-পাটকেল ও ঝাড়ু মেরে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ফলে একসময়ের গ্রাফিতি জনতার ক্ষোভ ও ঘৃণার প্রতীকে রূপ নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকজন লোক মেট্রোরেলের পিলারে শেখ হাসিনার ছবি মুছতে গেলে তারা বাধা দেন। পরে তারা জানতে পারেন প্রক্টরের অনুমতিতেই এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ সময় একটি পিলারে শেখ মুজিবুর রহমানের সম্পূর্ণ ছবি অন্যটিতে শেখ হাসিনার ছবির মুখের অংশ মুছে ফেলা হয়।

তারা জানান, পরে শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়ে মোছা বন্ধ করেন এবং পুনরায় শেখ হাসিনার ছবি একে দেন। এরপর তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন।

এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামের ছবি তোলে। এই ছবিগুলোর সঙ্গে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের ছবি যায়। তাই ওরা বলেছে, এখনো টিএসসিতে কীভাবে তাদের ছবি থাকে। তখন আমি ভারপ্রাপ্ত স্টেট ম্যানেজার ফাতেমা বিনতে মুস্তাফাকে বললাম মেট্রো কর্তৃপক্ষকে বলার জন্য। পরে মেট্রোরেলের পক্ষ থেকে লোক পাঠিয়ে মুছে ফেলা হয়।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, “এটি একেবারেই একটা নিষ্পাপ সিদ্ধান্ত। এখানে কারও কোনো ষড়যন্ত্র নেই। কাল আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ওখানে চারুকলার দুজন শিক্ষার্থী এটাকে পুনরায় আঁকতে চাইল। আমি বললাম— তোমরা যেভাবে আঁকতে চাও আঁকো। এ ছাড়া তাদের বলেছি, আগামীকাল আমি দুঃখপ্রকাশ করে একটি বিবৃতি দেব। এছাড়াও, এই স্তম্ভকে স্থায়ীভাবে ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ ঘোষণা করব। ওরা সবাই এটা মেনে নিয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে শিক্ষার্থীরা যেমন চাইবে, তেমন করেই স্তম্ভটি পুনরায় তৈরি করা হবে বলেও জানান প্রক্টর।

এর আগে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত মেট্রোরেলের পিলারে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণ ফলক স্থাপন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। এ সময় এই ঘৃণাস্তম্ভ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ঘোষণাপত্রও পাঠ করা হয়।

প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

এদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মারক, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ’ মুছে ফেলার দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে টিএসসিতে সন্ধ্যা ৬ টায় এ বিক্ষোভ করে তারা।

সারাবাংলা/এআইএন/পিটিএম

গ্রাফিতি ঘৃণাস্তম্ভ টপ নিউজ প্রশাসন বিক্ষোভ

বিজ্ঞাপন

না ফেরার দেশে অঞ্জনা
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪

এই তাসকিনকে সমীহ করবেন যে কেউ
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর