Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পুলিশের বাধায় রামপুরায় থেমে গেল বিএনপির পদযাত্রা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৩ | আপডেট: ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০২:২৮

ঢাকা: ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পদযাত্রা পুলিশের বাধায় রামপুরায় থেমে গেছে।

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও উসকানিমূলক অপপ্রচারের প্রতিবাদে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে প্রতিবাদী পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলে। পুলিশি বাধার পর এই তিন সংগঠনের একটি প্রতিনিধিদল ভারতীয় হাইকমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সাননে জড়ো হন সংগঠন তিনটির নেতা–কর্মীরা। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রুহুল কবির রিজভীসহ আয়োজক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

সমবেশ শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টন থেকে বারিধারা কূটনৈতিক এলাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে প্রতিবাদী পদযাত্রা শুরু হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পদযাত্রাটি রামপুরা ব্রিজের কাছে এলে পুলিশ সেখানে আটকে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগে থেকেই পুলিশ রামপুরা ব্রিজের ওপর অবস্থান নিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে দেয়। পদযাত্রারাটি সেখানে পৌঁছানোর পর সংগঠন তিনটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের হালকা ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা স্মারকলিপি নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের দিকে যান। আর কর্মীরা যার যার গন্তব্যে চলে যান।

নয়াপল্টন থেকে কাকরাইল, মৌচাক ও মালিবাগ হয়ে পদযাত্রা রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত যায়। এ সময় এই পথে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রামপুরা ব্রিজের ওপর পুলিশের ব্যারিকেডের কারণে দুদিকের সড়ক হয়েই যানচলাচল বন্ধ ছিল প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে নয়াপল্টন থেকে পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘ভারতকে বন্ধুরাষ্ট্র মনে করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, তারা বন্ধুত্বের মর্যাদা রাখেনি। তারা ন্যক্কারজনকভাবে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছে, ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে। তারা বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।’

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, ‘‘শেখ হাসিনা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী চেতনার মানুষ কোনো আগ্রাসী মনোভব গ্রহণ করবে না। রাজপথে সোচ্চার থেকে প্রতিবাদ জনাবে।’’

যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘‘আমরা বন্ধুরাষ্ট্র চাই। প্রভুসুলভ মনোভব চাই না। এমন মনোভব আমরা গ্রহণ করব না।’’

সারাবাংলা/এজেড/ইআ

পুলিশের বাধা বিএনপির পদযাত্রা রামপুরা

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর