Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৩ মাস ঋণ প‌রি‌শোধ না করলেই খেলাপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৭ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৩৮ | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৪৩

বাংলাদেশ ব্যাংক। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে খেলাপি ঋণ গণনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নিয়‌ম অনুযায়ী তিন মাস ঋণ প‌রি‌শোধ না করলে তা খেলাপি ঋণে প‌রিণত হ‌বে। ঋণ মন্দ মান হলে ১০০ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন এই নির্দেশনা ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, নতুন নিয়মে ঋণের কিস্তি নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ না করলেই সেই ঋণ খেলাপি হবে। আর মেয়াদোত্তীর্ণের সময়সীমা তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে হলে নিম্নমান, ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে সন্দেহজনক ও ১২ মাসের অধিক হলে মন্দ ঋণ হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, নিয়মিত ঋণের জন্য ১ শতাংশ এবং খেলাপির বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে নতুন নির্দেশনা কার্যকর হবে। তবে বহুল আলোচিত এককালীন পরিশোধ করে পুনঃতফসিলের মাধ্যমে ঋণ নিয়মিত বিষয়ে বুধবার জারি প্রজ্ঞাপনে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

সার্কুলার উল্লেখ করা হয়, বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং চর্চার প্রচলিত রীতি ব্যাসেল-৩ নীতিমালার আলোকে ঋণ শ্রেণিকরণ অনুযায়ী সবধরনের ঋণের ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধ বা সমন্বয়ের জন্য নির্ধারিত দিনের পরবর্তী দিন হতে ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য হবে। আর মেয়াদোত্তীর্ণের সময়সীমা তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে হলে নিম্নমান, ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে সন্দেহজনক ও ১২ মাস বা এর অধিক হলে মন্দ বা ক্ষতিজনক মানে খেলাপি করতে হবে।

একইসঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড ঋণের ক্ষেত্রে ঋণস্থিতির ১ শতাংশ, স্পেশাল মেনশন অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে ঋণস্থিতির ৫ শতাংশ জেনারেল প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া, খেলাপিকৃত ঋণের ক্ষেত্রে নিম্নমান হলে প্রভিশনের ভিত্তির ওপর ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক হলে প্রভিশনের ভিত্তির উপর ৫০ শতাংশ ও মন্দ বা ক্ষতিজনক হলে প্রভিশনের ভিত্তির ওপর ১০০ শতাংশ স্পেসিফিক প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সার্কুলারে আরও বলা হয়, যদি কোনো ঋণ বা অগ্রিম সাব-স্টান্ডার্ড এবং সন্দেহজনক মানে খেলাপি করা হয়, তাহলে ওই ঋণের ওপর অর্জিত সুদ আয় হিসাবে জমা করার পরিবর্তে সুদের সাসপেন্স হিসাবে জমা করতে হবে। কোনো ঋণ অগ্রিম ক্ষতিজনক খেলাপি হলে একই হিসাবে সুদের চার্জ করা বন্ধ হয়ে যাবে।

অন্য কোনো বিশেষ কারণে কোনো ক্ষতিজনক মানে ঋণ অ্যাকাউন্টে কোনো সুদ চার্জ করা হলে সাসপেন্স অ্যাকাউন্টে তা সংরক্ষণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে আয় হিসাবে জমা করা যাবে না। এছাড়া, খেলাপি ঋণ বা এর কিছু অংশ পুনরুদ্ধার হলে তা ঋণ সমন্বয় হিসাবে দেখানো যাবে।

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

৩ মাস ঋণ খেলাপি পরিশোধ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর