Sunday 29 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডিমেনশিয়া নিয়ে দেশে আরও গবেষণা হওয়া উচিত: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:১৯ | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৩

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, ডিমেনশিয়ার (মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ) ব্যাপারে আমাদের আরও গবেষণা করা উচিত, তথ্য সংগ্রহ করা উচিত। আমরা সঠিক চিত্রটি পেলে ডিমেনশিয়া নিয়ে ঠিকমতো আগানো যাবে এবং কী করণীয় সেটা নিয়ে কথা বলা যাবে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ ভবনের সম্মেলন কক্ষে আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশ ও জাতীয় উদ্যোগে ডিমেনশিয়া যত্ন ও নাগরিক মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ (Dementia Care & (Rights) বিষয়ক সেমিনারে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

নূরজাহান বেগম বলেন, ‘আমি এখানে এসে জেনেছি, বাংলাদেশ ১১ লাখের উপর ডিমেনশিয়ার রোগী রয়েছেন। আমি মনে করি ডিমেনশিয়া নিয়ে দেশে আরও গবেষণা হওয়া উচিত। চিকিৎসাখাতে আমরা নানা বিষয় গবেষণা করি। এক্ষেত্রে ডিমেনশিয়ার উপর গুরুত্ব দিয়ে গবেষণার দরকার আছে।’

তিনি বলেন, ‘এ সেমিনারে উপস্থিত থেকে প্রথমদিকে আমার মন খারাপ হচ্ছিল এটা ভেবে যে, এই রোগের কোন চিকিৎসা নাই। শুধু কেয়ার গিভার রোগীকে যতটুকু স্বাচ্ছন্দ্য দিতে পারে। সেমিনারে কি নোট প্রেজেন্টেশন দেখে আমি আশ্বস্ত হয়েছি যে চিকিৎসা একেবারেই যে হয় না ব্যাপারটা তা না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে, যেমন একজন বলল ভাসকুলার ডিমেনশিয়া, এটা ইচ্ছা করলে প্রতিরোধ করা যায়, চিকিৎসা করা যায়। এটাতে অন্তত আশার আলো দেখা গেল। আমরা এখন বলছি ডিমেনশিয়ার কোনো চিকিৎসা নাই। কিন্তু আগামীকাল যে চিকিৎসা আবিষ্কার হবে না তা নিশ্চিত হয়ে বলা যায় না। বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগে আমরা তাই স্বপ্ন দেখতেই পারি যে, আগামীতে ডিমেনশিয়া রোগের চিকিৎসা ও গবেষণা বাংলাদেশের চিকিৎসক ও গবেষকরাই করবেন।’

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি প্রশ্ন করেছিলাম ডিমেনশিয়া রোগীদের স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার জন্য কোনো জিনিসটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেটা বলা হয়েছিল সেটা হচ্ছে আন্তরিকতা নিয়ে রোগীকে বুঝা, তার কষ্টটুকু নিজের মতো করে উপলব্ধি করা। কেয়ারগিভার বা রোগীর সেবা যত্ন যিনি করবেন তার ভেতর যাতে এ বোধটা তৈরি হয় সেটা নিয়ে ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ আমাদের খুবই দরকার।’

ডিমেনশিয়া বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ দেই, নার্সদের প্রশিক্ষণ দেই। আমরা নিজেরা প্রশিক্ষণ নিই। কিন্তু মানবিক প্রশিক্ষণ কতটুকু নিই? মানুষের হৃদয় স্পর্শ করার প্রশিক্ষণ কতটুকু আমরা দিচ্ছি। আমাদের সচেতনতার অভাব রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সভা, সেমিনার, গ্রামগঞ্জে প্রতিটা বাড়ি বাড়ি যাই এবং ডিমেনশিয়া নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করি তাহলে এর সুফল আমরা পাবো। আমাদের এ কর্মশালাগুলো, আলোচনাগুলো উঠান বৈঠকের মাধ্যমে, মসজিদে, মাদ্রাসায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় এগুলো ছড়িয়ে দেওয়া যায়। এই আয়োজনটা আমাদের করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের সাহায্য যদি লাগে দেওয়া যাবে।’

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরিন আফরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে ‘ডিমেনশিয়া: ক্রমবর্ধমান জাতীয় সংকট’ নিয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপনা করেন আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশের মহাসচিব মোহাম্মদ আজিজুল হক।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. হালিদা হানুম আখতার, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হক। এছাড়া চিকিৎসক ও বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসবি/এইচআই

ডিমেনশিয়া রাজধানীর আগারগাঁও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর