‘সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি সোনার খোঁজ নেই’
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:২৫ | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৫৮
ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সমবায় ব্যাংকের বহু সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে। যারা একসময় ব্যাংকে ছিলেন, তারাই এসব সম্পত্তি বেদখল করে বসে আছেন। এদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর কোথায় কী রয়েছে, সব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি। সমবায় ব্যাংকের অবস্থা দেখতে গিয়ে জানলাম, ১২ হাজার ভরি সোনার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার কোটবাড়ীতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) ময়নামতি মিলনায়তনে আয়োজিত বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হাসান আরিফ। এর আগে, তিনি বার্ডের দুই দিনব্যাপী ৫৭তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সমবায় বিভাগ নিয়ে উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, ‘সমবায় দাঁড়াতে পারছে না। কারণ, সমবায়ীদের মধ্যে মনমানসিকতার অভাব রয়েছে। সমবায়ের সঙ্গে যারা আছেন, তারা শুধু কমিটি আর দায়িত্বে আসা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। কিন্তু সমবায়ের কল্যাণে কোনো কাজ হচ্ছে না। সমবায়ীরা শুধু কমিটিতে ঢুকতে চান। কিন্তু সমবায়ের কী উন্নয়ন হলো, সেদিকে তাদের লক্ষ্য নেই। এ ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কার দরকার।’
বার্ডের প্রতিষ্ঠাতা ড. আখতার হামিদ খানের স্বপ্নের বাস্তবায়িত রূপ দেখতেই বার্ডে এসেছেন বলে জানান হাসান আরিফ। তিনি জানান, আখতার হামিদ খানের দর্শন ছিল সমবায়, গ্রামীণ উন্নয়ন, গ্রামীণ মানুষের আর্থিক উন্নয়ন। এগুলো নিয়ে গবেষণা চলছে এবং বাস্তবায়িত হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘আবার মন্ত্রণালয়ে দেখি এগুলো নিয়ে কোথায় যেন স্থবিরতা বিরাজ করছে। বার্ডের চিন্তাচেতনার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সংযোগ ঘটানো গেলে আশা করি পল্লী উন্নয়নের একটি গতি আসবে। পল্লী উন্নয়নের কোথায় কী আছে, সেগুলো ফাইলে বন্দি থাকুক, সেটা আমি চাই না। তাই কোথায় কী আছে, সবকিছু আমি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি। বর্তমানে কীভাবে বা কোথায় সংস্কার দরকার, সেটা জানার চেষ্টা করছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে বার্ডে এসেছি।’
সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক, বাংলাদেশের চেয়ারপারসন ও পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান এবং স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ।
পরিকল্পনা সম্মেলনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের উচ্চ ও মধ্যম পর্যায়ের ১১০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম