‘সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ ইতিবাচক’
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:২১ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৪৫
ঢাকা: সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগকে ইতিবাচক বলে মনে করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সংবিধান সংশোধনের যে উদ্যোগটা নিয়েছেন তা গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই। দীর্ঘদিন ধরে বিচার বিভাগ ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে জনগেণের একটি দাবি রয়েছে। সেই দাবিকে ধারণ করেই তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট উল্লেখ করে এই অনুচ্ছেদের (৭০ অনুচ্ছেদ) সংশোধন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, ‘শাসন, আইন ও বিচার বিভাগের ভারসাম্য আনার জন্যই সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সাংবিধানিকভাবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বৈধ। আইন মেনেই সবকিছু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হ্রাস এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ সংবিধান সংশোধন খুবই জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নয়, আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণেই কার্যত বাংলাদেশের আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।’ সংবিধান সংস্কার কমিশন বিষয়গুলো দেখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট শাসন ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রস্তাব সময়োপযোগী। প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ বিচারকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য বিচার বিভাগের সংস্কার জরুরি।’
রাজনৈতিক দল থেকে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া সংক্রান্ত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন অথবা সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন তাহা হইলে সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোনো নির্বাচনে সংসদ সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।’
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম