অডিটর পদকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতের দাবিতে বিক্ষোভ
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৫৩ | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২৫
ঢাকা: সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অডিটর পদকে দশম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সিএজি কার্যালয় ও এর অধীন দফতরগুলোর অডিটররা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে জানান তারা।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে সিএজি কার্যালয়ে অডিট কমপ্লেক্সে দিনভর কয়েক শ অডিটর বিক্ষোভ করেন। একই দাবিতে সারা দেশে সব সিএজি কার্যালয়ের সামনে আজ থেকে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে অডিটররা বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর একটি বিট মামলার পক্ষভুক্ত ৬১ জন অডিটরের বেতনস্কেল গ্রেড-১১ তম হতে ১০ গ্রেডে উন্নীত করা হয়। পরবর্তী সময়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে রিট মামলায় পক্ষভুক্ত ৬১ জন অডিটরের বেতনস্কেল গ্রেড-১১ থেকে গ্রেড-১০ এ উন্নীত করা হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য নিরীক্ষা ও হিসাব বিভাগের অডিটর পদটিকে ১০ গ্রেডে (সেকেন্ড ক্লাস) গেজেটেড পদে উন্নীত না করে কেবল রিট পিটিশনকারী ৬১ জন অডিটরের বেতন স্কেল গ্রেড-১১ থেকে গ্রেড-১০ এ উন্নীত করা হয়।
তারা বলেন, পরে এ বিষয়ে আদালত অবমাননা অভিযোগ দায়ের করলে সর্বোচ্চ আদালত ২০২২ সালে অডিটরদের গ্রেড-১০ এ উন্নীত করার পক্ষে রায় দিলেও তা নানা টালবাহানা করায় সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সর্বশেষ চলতি বছরের ১২ আগস্ট সিএজি দফতর থেকে চিঠি পাঠানো হলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রশাসন ও সমন্বয় অনু বিভাগ থেকে তা আইন মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়। সেখানে প্রস্তাবনাটি পাঠানো হলে অডিটরের বেতন স্কেল গ্রেড-১১ থেকে গ্রেড-১০ এ উন্নীত করার বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। তারপরেও অর্থ মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়ন করছে না।
বিক্ষোভ সমাবেশে অডিটরা আরও বলেন, আমরা মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন তিন অধিদফতরের অডিটররা একই পদে দুই ধরনের বেতন–বৈষম্য নিরসন ও দশম গ্রেড বাস্তবায়ন চেয়ে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।
জানা গেছে, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) ও এর অধীন হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (সিজিএ), কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স (সিজিডিএফ) ও রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক— এর চার প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে অডিটর হিসেবে কর্মরত আছেন ৬ হাজার ৯৮৫ জন। এর মধ্যে মাত্র ৬১ জনকে হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে যারা রিট মামলার পক্ষভুক্ত হয়েছিলেন, শুধু তাদের দশম গ্রেডে বেতন দেওয়া হয়। বাকিরা এখনো ১১তম গ্রেডে বেতন পান। বিক্ষোভকালে তারা দ্রুত আদালতের রায় বাস্তবায়নের দাবি জানান।
অডিটর আহমেদুর রহমান ডালিম বলেন, ‘আমাদের একই পদে দুটি গ্রেড। একটি ১১তম গ্রেড আর মামলাকারী ৬১ জনকে শুধু দশম গ্রেডে উন্নীত করা চরম বৈষম্য। বৈষম্য দূর করার জন্য যে চিঠিটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এ বিষয়ে দশম গ্রেডের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। তার পরও অজ্ঞাত কারণে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। আমরা দ্রুত এর বাস্তবায়ন চাই।’
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম