ই-ক্যাবে পদত্যাগের হিড়িক, সভাপতির পর এবার ৯ সদস্যের পদত্যাগ
৩১ আগস্ট ২০২৪ ২১:২৩
ঢাকা: দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতির পদত্যাগের পর এবার কার্যনির্বাহী পর্ষদের (ইসি) নয়জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাহাব উদ্দিন বরাবর শুক্রবার (৩০ আগস্ট) পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তারা। এই নয়জনের পদত্যাগের পর বর্তমানে ই-ক্যাবের ১১ সদস্যের ইসির মধ্যে এখন শুধু ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাহাব উদ্দিনই দায়িত্বে রয়েছেন।
পদত্যাগকারী সদস্যরা হলেন-সহসভাপতি সৈয়দা আম্বারিন রেজা, সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা, যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার তাসফিন আলম, অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফ এবং পরিচালক মো. সাইদুর রহমান, মো. ইলমুল হক, শাহরিয়ার হাসান, পরিচালক অর্নব মোস্তফা ও আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।
এর আগে, ১৩ আগস্ট ব্যক্তিগত ও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন সংগঠনের দুইবারের নির্বাচিত (২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো ই–ক্যাবের সভাপতির দায়িত্ব পান শমী কায়সার। ২০২২ সালে সংগঠনটির প্রথম সরাসরি নির্বাচনে শমীর নেতৃত্বাধীন প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠ পায় এবং তিনি ২০২২–২৪ মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হন) সভাপতি শমী কায়সার।
ই-ক্যাবের একাধিক সদস্য জানান, বৈষম্যবিরোধী ই-ক্যাবের সমন্বয়ক ও সদস্যদের মূল চাওয়া, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। একই সঙ্গে তারা এমন নেতৃত্ব নিয়ে আসার প্রত্যাশা করছেন, যাঁরা ই-ক্যাবকে গ্রহণযোগ্য সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন। সদস্যবান্ধব একটি সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলবেন।
নয়জনের পদত্যাগের বিষয়ে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমি ঢাকার বাইরে আছি। নয়জনের পদত্যাগের বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) অফিস খোলার পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
পদত্যাগের বিষয়ে ই-ক্যাবের সহসভাপতি সৈয়দা আম্বারিন রেজা বলেন, ‘কারণ একটাই, আমাদের মেয়াদ শেষ। অনেকে মনে করছেন, আমরা মেয়াদ বাড়িয়ে থাকতে চাইছি বা এটা নিয়ে ষড়যন্ত্র করছি। কিন্তু না। আমরা স্বচ্ছ থাকার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গত ২৭ জুলাই নতুন কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দেশের পরিস্থিতির কারণে সেটার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এরপর নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরাও পদত্যাগ করেন। ই–ক্যাব নেতৃত্বকে পুনর্গঠন ও পুনরুজ্জীবিত করতে আমরা পদত্যাগ করেছি।’
ই-ক্যাবের ইসি থেকে পদত্যাগ করা আরেক সদস্য আসিফ আহনাফ বলেন, ‘আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমাদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ ব্যাপারে আমরা পরিচালক, বাণিজ্য সংগঠনের (ডিটিও) কাছে পরামর্শ চেয়েছি। ডিটিওর পরামর্শ অনুযায়ী ই-ক্যাব পরিচালিত হবে।’
সারাবাংলা/এনইউ