আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘন: তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা চান নাহিদ
২৫ আগস্ট ২০২৪ ১৮:০৯ | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৪ ২১:৩৬
ঢাকা: ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। সর্বস্তরের জনগণকে আমরা সঙ্গে পেয়েছি। এ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশবাসীর প্রতি আমাদের কিছু প্রতিশ্রুতি তৈরি হয়েছে। আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি, পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধরে রেখে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার দফতরের এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে দেখা করেন।
আলোচনায় উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার, আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন ও দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা দেওয়া এবং আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা এই তিনটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরো সময়টা জাতিসংঘ এবং হিউম্যান রাইটস সংগঠনগুলো আমাদের সঙ্গে ছিল। সেজন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা তাদের আগেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলাম যে, বিগত সরকার চূড়ান্ত ক্র্যাক ডাউনের দিকে যাবে। পরে সেই ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা চাই জাতিসংঘের অধীনে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিশ্ববাসী জানুক আন্দোলনের এই সময়ে বাংলাদেশে কী কী ঘটেছে। আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার প্রতি কতটা নৃশংস ছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার।
রোরি মুঙ্গোভেন অন্তবর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ বিশেষ করে তরুণেরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, তাতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার অনুপ্রাণিত হয়েছেন। ঘটনাটি বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ।’ সত্য ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় তারা সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলেও জানান রোরি মুঙ্গোভেন।
প্রতিনিধি দলের আরেক সদস্য আন্দোলনের সময় সংগঠিত ঘটনাগুলোর তথ্যপ্রমাণ সংরক্ষণ করার জন্য আইন, স্বরাষ্ট্র এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন, যাতে ভবিষ্যত তদন্তে এ প্রমাণগুলো কাজে লাগানো যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ওটিপি প্লাটফর্মে আগের সরকারের মতো পর্যবেক্ষণের নামে নিয়ন্ত্রণ না করার অনুরোধ জানান তারা। প্রয়োজনে এ বিষয়ে অভিজ্ঞদের সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য পাঠানোর অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম