ইবি: ভারতের সঙ্গে পানি চুক্তির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এবং ডুম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টায় ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি প্রধান ফটক হয়ে ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া বাজার ঘুরে ক্যাম্পাসের বটতলায় গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীদেরকে ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। এছাড়া ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি জানান তারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২৪ এর পরাজিত শক্তিরাই ভারতের দোসর। ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে তারা এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীতে যে বন্যা হচ্ছে, এটা বন্যার পানি নয়। এটা ষড়যন্ত্রের পানি। ভারতকে বলবো বাংলাদেশকে আপনাদের শত্রু হিসেবে পরিণত করবেন না। পরিণাম ভালো হবে না।
তারা আরও বলেন, আমরা স্বৈরাচারের পতনের জন্য যেভাবে গণভবন অভিমুখে লংমার্চ করেছিলাম, প্রয়োজনে বাঁধ অভিমুখে লংমার্চ করা হবে। আন্তর্জাতিক আইনে বাঁধ পরিচালনায় বাধ্য করবো। ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিহত করতে ছাত্রজনতা আবরারের মতো নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিতেও রাজি আছে।
এদিকে বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ব্যাচের ফেইসবুক পেইজ ‘সংবর্ত-৩৬’ থেকে ‘জুলাইয়ে স্মৃতিচারণ’ নামে লাইভ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে উপস্থাপিকা গণিত বিভাগের ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের জান্নাত মিম গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ইবির গেইটে ‘লিল্লাহু তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান কেন দেওয়া হয়েছিল সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় তাকবির নিয়ে কটাক্ষ ও কালিমা লেপনের অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে তাকবির মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও স্থানীয় শেখপাড়া বাজার ঘুরে প্রধান ফটকে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।