সন্ত্রাসী তৎপরতায় নির্মূল কমিটির উদ্বেগ
৮ আগস্ট ২০২৪ ২১:১০ | আপডেট: ৯ আগস্ট ২০২৪ ০১:৩৪
ঢাকা: সারা দেশে চলমান সহিংসতা ও সন্ত্রাসী তৎপরতায় উদ্বেগ জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। এসব নৈরাজ্যের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে শিগগিরই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা করছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এ উদ্বেগ জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি— আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই ঢাকাসহ সারা দেশে সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও সংখ্যালঘু পরিবার, ভাস্কর্য, স্থাপনা, শিল্পালয়, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক যাদুঘর, চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহের ওপর প্রতিহিংসামূলক আক্রমণ, লুট, ভাঙচুর, হত্যা ও হুমকি চলছে। এমনকি রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের চিন্তক, গবেষক, মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবারও হুমকির মুখে দিনাতিপাত করছেন। পুলিশ বাহিনী ও থানাও আক্রমণ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের আগে পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
এমন নৈরাজ্য গণতান্ত্রিক চর্চা ও সুশাসনের জন্য একেবারেই সহায়ক নয় উল্লেখ করে নির্মূল কমিটি বলছে, সেনাপ্রধান দায়িত্ব নেওয়ার পর জনগণের উদ্দেশে বলেছিলেন, তিনি জাতির দায়িত্ব নিচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলেন। তার এ আহ্বানে নৈরাজ্যকারীরা কর্ণপাত করেনি। আমরা আশা করব, শিগগিরই রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান ও আসন্ন অন্তবর্তীকালীন সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেবেন।
আইনি ব্যবস্থার প্রত্যাশা জানিয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি বিবৃতিতে বলছে, আমরা আশান্বিত যে সেনাবাহিনী থেকে এরই মধ্যে কিছু জরুরি ফোন নম্বর সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু সঙ্গত প্রয়োজনে অনেকেই সেই নম্বরে প্রবেশ করে সহায়তা চাইতেই পারেননি। আশা করি এ ব্যাপারে দ্রুত আরও বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। আমরা আরও আশা করব, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে অচিরেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর