হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ২ নেত্রীকে অপহরণের অভিযোগ
৭ আগস্ট ২০২৪ ১৯:২৪ | আপডেট: ৭ আগস্ট ২০২৪ ২৩:৫১
রাঙ্গামাটি: সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সহযোগী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নেত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে রাঙ্গামাটি শহরে জেএসএস-ইউপিডিএফের সংঘর্ষের মধ্যে দুই নেত্রীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ’র বিরুদ্ধে।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে দুই নেত্রীকে অপহরণের অভিযোগ তোলে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসের ছাত্র সংগঠন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন।
সংগঠন দু’টি জানিয়েছে, অপহৃত দুই নেত্রী হলেন- হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুষ্টি চাকমা এবং তথ্য ও প্রচার সম্পাদক কাঞ্চনমালা চাকমা। তাদের ‘অস্ত্রের মুখে’ অপহরণ করা হয়।
পিসিপি কেন্দ্রীয় তথ্য প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অন্বেষ চাকমার সই করা যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক ২টার দিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিবিরোধী ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ) রাঙ্গামাটি শহরে সহিংসতা ও নাশকতা সৃষ্টির অপচেষ্টার হীনউদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র, ইট, গুলতি, লাঠিসোটা নিয়ে মানিকছড়ি-রাঙ্গামাটি এবং রাজবাড়ি-শিল্পকলা একাডেমি এলাকা হয়ে দুই দিক থেকে প্রবেশ করে রাঙ্গামাটি শহরের জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গণে কথিত গণসমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। এ উদ্দেশ্যে রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী, ঘাগড়া, কুতুককছড়ি, সাপছড়ি, নান্যচর, বন্ধুকভাঙ্গা প্রভৃতি এলাকা থেকে কয়েক হাজার সাধারণ জনগণকে ‘অস্ত্রের মুখে’ জিম্মি করে ১০টির অধিক জিপ গাড়ি ও ১৫টির অধিক ট্রলার বোট নিয়ে রাঙ্গামাটি শহরে প্রবেশ করতে থাকে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘রাঙ্গামাটি শহরে স্থিতিশীলতা রক্ষা ও জুম্ম জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে পিসিপি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুইটি টিম তাদেরকে স্ব-স্ব এলাকায় ফিরে যাওয়ায় আহ্বান জানায়। কিন্তু এ আহ্বান উপেক্ষা করে মানিকছড়ি থেকে শহরে প্রবেশ করার সময় পিসিপি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দু’টি টিমের ওপর জিপ ও ট্রলার থেকে অনবরতভাবে ইট-গুলতি নিক্ষেপ করতে থাকে এবং যানবাহন থেকে নেমে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করতে থাকে। এ সময় ‘অস্ত্রের মুখে’ হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নেত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং অপরাপর কর্মীদের হামলা করলে যুব সমিতি, পিসিপি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ২০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হন এবং তারমধ্যে ১৭ জন কর্মী রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয়।’
যৌথ বিবৃতিতে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন দুই নেত্রীকে অতিদ্রুত নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানায়।
তবে অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপিডিএফ মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেন, ‘আমরা নিজেরা সমাবেশ করতে গিয়ে মার খেলাম। আমাদের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছে। ৮-৯ জন এখনো তাদের হেফাজতে রয়েছে। এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য তারা এমন অভিযোগ করছে। আমরা এটার তীব্র নিন্দা জানাই।’
সারাবাংলা/পিটিএম