শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় এসি রবিউলকে স্মরণ
১ জুলাই ২০২৪ ১৯:০৭ | আপডেট: ২ জুলাই ২০২৪ ০২:২০
মানিকগঞ্জ: শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হলো ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহত এসি রবিউল করিমকে। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের আটিগ্রামে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের আয়োজনে শোক র্যালি ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় রবিউল করিমের প্রতিষ্ঠিত স্কুল নজরুল বিদ্যাসিঁড়ির সামনে থেকে শোক র্যালি শুরু হয়। র্যালিতে ব্লুমসের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও রবিউলের ঘনিষ্ঠসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। পরে তারা রবিউলের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে আটিগ্রাম ইউনিয়নের বাসাই গ্রামে ব্লুমস বিশেষায়িত বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণসভা যান। সেখানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জি.আর শওকত আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য স্মৃতিচারণ করেন কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিপ্লব হোসেন সেলিম, ব্লুমসের সদস্য সচিব শহিদ রবিউল করিমের ছোট ভাই শামসুজ্জামান শামস, সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন কচি, রবিউলের সহধর্মিণী উম্মে সালমা প্রমুখ।
স্মরণসভায় নিহত রবিউলের ছোট ভাই শামসুজ্জামান শামস বলেন, ‘আমাদের দেশে রবিউলদের সংখ্যা খুবই কম। দেশের জন্য, মানুষের জন্য তারা কাজ করেছেন অনেকটা নীরবেই। রবিউল গ্রামের অবহেলিত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য ব্লুমস কাটিগ্রাম প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। পাশাপাশি স্বাভাবিক ছেলে-মেয়েদের জন্য নজরুল বিদ্যাসিঁড়ি নামের অপর একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি খুব অল্প সময়ে তার সামর্থ্য অনুসারে এসব করেছেন। তার রেখে যাওয়া এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব এখন আমাদের সবার। সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।’
জিআর শওকত আলী বলেন, ‘ব্লুমস পরিচালনার ক্ষেত্রে আর্থিক সংকটসহ নানা সমস্যার মধ্যদিয়ে আমাদের চলতে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠাতা রবিউল থাকলে হয়তো আমাদের এটি নিয়ে ভাবতে হতো না। রবিউলের স্বপ্নে গড়া প্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। রবিউল আমাদের সবাইকে দেখিয়েছে কীভাবে ভালোবাসতে হয়, মানুষের সেবা করতে হয়।’
এ সময় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় সমাজের সর্বস্তরের সহযোগিতা চান বক্তারা। পরে ব্লুমস এর উপস্থিত সব শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এদিকে বিকেল ৩টার দিকে মানিকগঞ্জের পুলিশ লাইনসে শহিদ রবিউল করিম ফটকের পাশে নির্মিত শহিদ এসি রবিউল করিমের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই হোলি আর্টিজান বেকারিতে দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে জঙ্গিরা। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল। এ সময় জঙ্গি হামলায় নিহত হন।
সারাবাংলা/একে