Saturday 04 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সন্তু লারমার অভিযোগ— পার্বত্য চুক্তি ভুলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২১ জুন ২০২৪ ১৬:০২ | আপডেট: ২১ জুন ২০২৪ ২১:১১

সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সন্তু লারমা। ছবি: সারাবাংলা

রাঙ্গামাটি: টানা ১৭ বছর ক্ষমতায় থেকেও আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে কোনো ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) এই সভাপতি বলেন, ১৯৯৭ সালে যে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদন হয়েছিল সেটা যেন মানুষ ভুলে যায় সেজন্য শাসকগোষ্ঠী তথা সরকার ষড়যন্ত্র করছে। তার অংশ হিসেবে ২৬ বছরেও চুক্তি বাস্তবায়ন করা হয়নি। বরং চুক্তিকে ভুলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২১ জুন) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা শহরের রাজদ্বীপ এলাকায় সিএইচটি হেডম্যান (মৌজাপ্রধান) নেটওয়ার্কের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের কার্যালয়ে হেডম্যান নেটওয়ার্কের সভাপতি কংজরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সন্তু লারমা। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জুম্ম জনগণের অস্তিত্ব ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে। এরই ধারাবাহিকতা হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম ১৯০০ শাসনবিধি বতিলের চেষ্টা।

সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন মং সার্কেল চিফ সাচিংপ্রু চৌধুরী। সভায় আরও বক্তব্য দেন চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, রাঙ্গাটির স্থানীয় সরকার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গৌতম দেওয়ান, হেডম্যান নেটওয়ার্কের সহসভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা।

চাকমা সার্কেল চিফ রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিলের যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এটা পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য হুমকি। এটি কোনোভাবেই হতে দেওয়া যাবে না। এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত আন্দোলনের ডাক এলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

মং সার্কেল চিফ সাচিংপ্রু চৌধুরী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজন হলে আরও কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এ সময় অন্য বক্তারা বলেন, ১৯০০ শাসনবিধি বাতিলের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অ্যার্টনি জেনারেলের অবস্থান খুবই দুঃখজনক। এই শাসনবিধি বাতিল হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠী অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। প্রয়োজনে এ আইন বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন বক্তারা।

সম্মেলন শেষে চিংকিউ রোয়াজাকে সভাপতি ও শান্তি বিজয় চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্যের সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটি আগামী তিন বছর দায়িত্ব পালন করবে।

সারাবাংলা/টিআর

টপ নিউজ পার্বত্য শাক্তি চুক্তি রাঙ্গামাটি সন্তু লারমা সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক

বিজ্ঞাপন

না ফেরার দেশে অঞ্জনা
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪

এই তাসকিনকে সমীহ করবেন যে কেউ
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর