উন্নত দেশগুলোর জোট জি সেভেনের নেতারা অর্থনৈতিক নিরাপত্তাগত হুমকির বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার উপর জোর দিয়েছেন। তারা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চীনকে মূর্তিমান হুমকি হিসেবে মনে করছেন। এই ঝুঁকিগুলোর মধ্যে রয়েছে— বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে চীনের অতি-সক্ষমতা, রাশিয়ার যুদ্ধ-যন্ত্র ও তাদের বাণিজ্যকে সমর্থন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিনিয়োগ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জি সেভেনের দেশগুলোকে এসব বিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ জোর দিতে চাপ দিচ্ছেন।
শুক্রবার (১৪ জুন) ইতালির বর্গো এগনাজিয়ায় দ্বিতীয় দিন তারা সমবেত হয়েছিলেন। সম্মেলনটি আয়োজন করেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলনি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, অস্ত্র তৈরি করতে রাশিয়াকে প্রযুক্তি ও বুদ্ধি সরবরাহ করছে চীন। তিনি বলেন, তাই তারা কার্যত রাশিয়াকে সাহায্য করছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষাগত শিল্প-ঘাঁটিতে বেইজিংয়ের সমর্থন ও সাহায্য একটা ‘গুরুতর সমস্যা’ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মস্কোর যুদ্ধের নিরিখেই শুধু নয়, বরং ‘ইউরোপের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি হুমকি’ তৈরি করতে পারে এটা। বাইডেন প্রশাসনের এক সিনিয়র কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে শুক্রবার সংবাদদাতাদের এমনটাই বলেছেন।
চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে কিছু সদস্য উদ্বিগ্ন। চীনের গাড়ি নির্মাতারা সরকারের ভর্তুকি দেওয়া কম দামি ইভিগুলো ইউরোপের বাজারে হাজির করছে কিনা তা নিয়ে যখন তদন্ত চলছে সেই সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন বুধবার (১২ জুন) চীন থেকে আমদানিকৃত বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর ৩৮ শতাংশ পর্যন্ত বেশি শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে জো বাইডেন প্রশাসন চীনের ইভিগুলোর ওপর শুল্ক চারগুণ (অর্থাৎ ১০০ শতাংশ) বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি চীনের নির্দিষ্ট কিছু স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্য, সোলার সেল ও সেমিকন্ডাক্টরের ওপরও শুল্ক বাড়িয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের মতো বহুপাক্ষিক উন্নয়নমূলক ব্যাংকগুলোকে সংস্কার করতে জি-সেভেন তাদের অঙ্গীকারকে পুনরায় নিশ্চিত করতে চলেছে। তবে ঋণ মওকুফ এবং নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলির জন্য প্যাকেজের পুনর্গঠন সংক্রান্ত কোনো চুক্তি বা সমঝোতায় পৌঁছনোর ক্ষেত্রে বিলম্ব হতে পারে।