বেনজীর-আজিজবান্ধব বাজেট: নুরুল হক নুর
৭ জুন ২০২৪ ২০:৪৪ | আপডেট: ৭ জুন ২০২৪ ২০:৫৩
ঢাকা: ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ঘুষ, দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার সংবিধানবিরোধী বাজেট হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘এই সরকার বেনজীর-আজিজবান্ধব বাজেট ঘোষণা করেছে। ১৫% কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার এবং শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার সুযোগ দিয়েছে এই বাজেটে।’
শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে আজিজ-বেনজীরসহ দুর্নীতিবাজ-লুটেরা-মাফিয়া এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেফতারের দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বিক্ষোভ-সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘এই বাজেট ঋণ নির্ভর। বিদুৎ, জ্বালানি খাতে ভর্তুকির বদলে উল্টো দাম বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগ নেই। এই বাজেট মরার উপর খাঁড়ার ঘা। আমরা এই আজিজ-বেনজীরবান্ধব বাজেট প্রত্যাখ্যান করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে নির্বাচন, ভোট, গণতন্ত্র না থাকায় জবাবদিহিতাহীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর সরকারের জবাবদিহিতা না থাকায় দুর্নীতি এখন স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বলতে গেলে দুর্নীতি এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশ বের করতেও ঘুষ দিতে হয়। ওবায়দুল কাদের বলেছেন আজিজ-বেনজীররা তাদের লোক না। অথচ আজিজ-বেনজীরদের তারাই প্রমোশন দিতে দিতে সেনাপ্রধান, পুলিশ প্রধান বানিয়েছে।’
‘এই যে বাজেট দিয়েছে সেখানে বৈধ আয়ে কর দিতে হবে ৩০% আর লুটপাট, ব্যাংক ডাকাতির মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ আয়ে দিতে হবে ১৫%। এভাবে সরকার লুটেরাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এই বাজেট সাধারণ মানুষের জন্য নয়, এ বাজেট আজিজ, বেনজির, সালমান এফ রহমান, এস আলমের মতো লুটেরাদের জন্য’, বলেন নুর।
দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আজিজ-বেনজীর এই সরকারের সৃষ্টি। এই কুখ্যাত বেনজীর হেফাজতের উপর শাপলাচত্বরে বর্বরতা চালিয়েছে, আলেম ওলামাদের রক্তাক্ত করেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে বালুভর্তি ট্রাক রেখে তাকে অবরুদ্ধ করেছিল। সে হাজারো মানুষকে নির্যাতন, রক্তাক্ত, গুম করেছে। অথচ আজকে কোথায় কুখ্যাত বেনজীর? দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ক্ষমতা হারালে আওয়ামী লীগের লুটেরারাও এভাবে দেশ ছেড়ে পালাবে।’
সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর হিরনের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর উত্তরে সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেনের সঞ্চালনায় গণবিক্ষোভে আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, ফাতিমা তাসনিম, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, যুব নেতা ওবায়দুল হোসেন শুভ, জাহিদুল ইসলাম আপেল, জিহাদ হোসেন মিঠু, রাজিব শাহ, শেখ মো. মুনায়েম, শফিকুল ইসলাম শোভন, ছাত্রনেতা সম্রাটসহ অনেকে।
সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল, বিএনপির দলীয় কার্যালয়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে শেষ হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও