ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত
২৮ মে ২০২৪ ১৬:২৫ | আপডেট: ২৮ মে ২০২৪ ২০:২৪
ঢাকা: প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কেন পরীক্ষা বাতিল করা হবে না এবং নতুন করে কেন পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। পাশাপাশি অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ, আনিচ উল মাওয়া।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বলেন, প্রাইমারির তৃতীয় ধাপের ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে রিটকারীদের ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। আর এই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে অনেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ কারণে প্রকাশিত ফল নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাই প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ঘটনার তদন্ত এবং পরীক্ষা প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ঢাকা ও চট্রগ্রামের কয়েকজন পরীক্ষার্থী। হাইকোর্ট তাদের আবেদন শুনেছেন এবং এই ধাপের নিয়োগ প্রক্রিয়া ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।
এর আগে, গত ২৩ মে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ এনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৬ পরীক্ষার্থী।
তারও আগে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
এরপর ২২ মার্চ ২য় ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ১৭ জুন ৩য় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০, দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ এবং তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলা) লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয় গত ২২ এপ্রিল। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিতদের ভাইভা পরীক্ষা চলমান রয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে
টপ নিউজ নিয়োগ পরীক্ষা প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রাথমিক শিক্ষক রিট হাইকোর্ট