ঘূর্ণিঝড় রেমালে ভোলায় শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু
২৭ মে ২০২৪ ১৫:০৭ | আপডেট: ২৭ মে ২০২৪ ১৭:২৫
ভোলা: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঘর ও গাছ চাপা পড়ে এক শিশুসহ তিন জনের নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দৌলতখান উপজেলায় মাইশা (৪) নামের এক শিশু, বোরাহানউদ্দিন উপজেলায় মো. জাহাঙ্গীর (৫০) নামের এক কৃষক ও লালমোহন উপজেলার মনেজা খাতুন (৫৫) এক নারী রয়েছেন।
নিহত মাইশা দৌলতখান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মনিরের ছেলে। নিহত জাহাঙ্গীর বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
সোমবার (২৭ মে) সকালে সাচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহিবুল্লাহ মৃধা জানান, সোমবার সকালে সাড়ে ১০টার দিকে জাহাঙ্গীর ঝড়ের মধ্যে ঘরের বাইরে বের হয়। এসময় গাছের ডাল ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। জাহাঙ্গীর পেশায় এক জন কৃষক ছিলেন। পরে তিনি খবর পেয়ে নিহতের বাড়িতে গিয়ে নগদ ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা করেন।
অন্যদিকে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে দৌলতখান পৌরসভা ২নম্বর ওয়ার্ডে প্রচণ্ড ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ পড়ে ঘর চাপায় মাইশা (৪) নামের এক প্রতিবন্ধী শিশু নিহত হয়েছে।
লালমোহনের পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়ন পরিষদের মো. আ. হান্নান জানান, রাতের খাবার খেয়ে মনেজা খাতুন ও তার স্বামীসহ ৫-৭ বছর বয়সী ছোট নাতিন নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ৪টার দিকে তীব্র ঝড়ে তাদের বসত ঘরটি বিধ্বস্ত হয়। এ সময় আব্দুল কাদের ও ছোট নাতিন বের হতে পারলেও মনেজা খাতুন ঘরের নিচে চাপা পড়েন। পরে পাশের লোকজন এসে মনেজা খাতুনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাহবুব উল আলম জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ঘর চাপা পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। তবে এখনও বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, ঝড়ে গাছ পড়ে এক জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
সারাবাংলা/এমও