সোনার গয়না ছিনতাই : এসআইসহ ২ জন রিমান্ডে
২০ মে ২০২৪ ১৭:৫৯ | আপডেট: ২০ মে ২০২৪ ২১:৩১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে প্রবাসীকে জিম্মি করে ১৬ ভরি সোনার গয়না ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২০ মে) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলাম মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন।
দুই আসামি হলেন-গ্রেফতারের পর বরখাস্ত হওয়া খুলশী থানার এসআই আমিনুল ইসলাম (৩৭) ও শহিদুল ইসলাম জাহেদ (৩৫)।
আমিনুল ইসলামের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। ২০১২ সালে তিনি পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। শহিদুল ইসলাম জাহেদ পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। তার বাসা নগরীর বাকলিয়া থানার কে বি আমান আলী রোডে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘খুলশী থানায় দায়ের হওয়া ছিনতাইয়ের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে আদালত একদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।’
রোববার (১৯ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আক্তারুজ্জামান উড়ালসড়কে খুলশী থানার অংশে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনতাইয়ের শিকার সৌদিআরব প্রবাসী আব্দুল খালেক চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দরবারশেখ হাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা। গত ১২ মে তিনি দেশে ফেরেন। তার বড় ভাইও সৌদিআরব প্রবাসী।
খালেকের ভাষ্য অনুযায়ী, বড় ভাইয়ের পাঠানো ১৬ ভরি ওজনের আটটি সোনার চুড়ি নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরছিলেন তিনি। নগরীর টাইগারপাস মোড়ে তাকে বাস থেকে টেনেহিঁচড়ে নামায় আমিনুল ও জাহেদ। এরপর তাকে সিএনজি অটোরিকশায় করে আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারে তুলে তার কাছ থেকে চুড়িগুলো ছিনিয়ে নেয়।
তাকে অটোরিকশায় রেখে দুজন নেমে পালানোর পথে খালেদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে দুজনকে ধরে ফেলে। তবে পেছনে মোটর সাইকেল নিয়ে অনুসরণ করা একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ঘটনাস্থল অতিক্রমের সময় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ফারুকী তাদের দেখে এগিয়ে যান। ছিনতাইয়ের বিষয় বুঝতে পেরে তিনি পাঁচলাইশ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর আটক দুজনকে প্রথমে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ্দ করা হয়। পরে ঘটনাস্থল খুলশী থানা এলাকায় হওয়ায় তাদের সেখানে পাঠানো হয়। খালেক বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেন।
সারাবাংলা/আরডি/এনইউ