পরশু কোড হ্যাক করে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লুট করা হয়েছে: রিজভী
১৬ মে ২০২৪ ১৪:১৪ | আপডেট: ১৬ মে ২০২৪ ১৪:২১
ঢাকা: গত পরশু কোড হ্যাক করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশাল অংকের টাকা লুট করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে রাজধানীর শান্তিনগর বাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এ কথা বলেন। উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে এ লিফলেট বিতরণ করা হয়।
রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যাংক তারা লুটপাট করেছে। সে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে কী হচ্ছে সেটি মানুষকে জানতে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে যেন সাংবাদিকরা প্রবেশ করতে না পারে। গত পরশু দিন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি বিশাল অংকের টাকা কোড হ্যাক করে লুট করা হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একের পর এক লুট হয়ে ব্যাংকগুলো ধসে গেছে। মন্ত্রীদের নামে, এমপিদের নামে ব্যাংক দেওয়া হয়েছে। তারাই সব লুট করে ফেলছে। এখন সরকার ভালো ভালো ব্যাংকের সঙ্গে লুট হওয়া ব্যাংকগুলোকে মিশিয়ে দিতে চাচ্ছে। এভাবে তারা জনগণের টাকা, জনগণের সম্পদ লুটপাট করেছে, পাচার করেছে।’
রিজভী বলেন, ‘এর কোনো উত্তর নেই। এর কোনো উত্তর দিতে পারে না সরকার। কারণ নিজেদের লোকদের, নিজেদের মানুষদের অর্থ লুটের সুযোগ করে দিতে এ ব্যবস্থা করেছে সরকার। আজকে বাংলাদেশের টাকা নেই। যে রিজার্ভ দিয়ে আমদানি করা যায়, ব্যবসা করা যায়, উন্নয়ন করা যায়, সে রিজার্ভ শূন্যের দিকে। এর কী জবাব দেবেন শেখ হাসিনা। এর জবাব তিনি দিতে পারবেন না। কারণ, তার লোকেরাই এটি করেছে। আজকে অভাবী মানুষ ঠুঙায় করে কোনো রকম কয়েকটি শাক-সবজি নিয়ে বাড়িতে যায়। তারা মাছ কিনতে পারে না, মাংস কিনতে পারে না। এক মন ধান বিক্রি করে এক কেজি মাংস কেনা যায় না। এই হলো দেশের অবস্থা।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান ডামি সরকার দেশটিকে একটি লুটপাটের দেশ বানাতে চাচ্ছে। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের ঘনিষ্ঠজনরা। আজকে দুবাইয়ে অত্যন্ত দামি ৩৯৩টি বাড়ির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ৬৪৩টি স্থাবর সম্পত্তির খবর ছাপা হয়েছে। এ সম্পদের মালিক কারা? এই যে ব্যাংক লুটপাট করেছে, এই যে দেশের সম্পদ লুট করেছে, ফ্লাইওভার, পদ্মা সেতুর নামে টাকা লুট করেছে- এই টাকা দিয়েই তারা আজকে দুবাইয়ে বাড়ি বানাচ্ছে। সেই সংবাদ আজকে প্রকাশিত হয়েছে। এ খবর আর লুকানো যাচ্ছে না। সরকারের লোকদের লুটপাটের খবর একের পর এক বের হতে শুরু করেছে।’
রিজভী বলেন, ‘বর্তমানে ডামি ভোটে নির্বাচিত সরকার হলো দখলদার সরকার। তাদের জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই। জনগণের ভোটের কোনো দরকার হয় না তাদের। শেখ হাসিনা যাকে পছন্দ করবে সেই হবে উপজেলা চেয়ারম্যান। এখানে নির্বাচনের নামে শুধু প্রহসন বা আনুষ্ঠানিকতা চলছে। সুতরাং এ নির্বাচন বর্জন করুন। আপনারা যারা ঢাকায় আছেন আপনাদের আত্মীয় স্বজনদের এ নির্বাচন বর্জনের আহবান জানান।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তারেক উজ জামান তারেক, এজমল হোসেন পাইলট, হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক আহসান, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/আইই
টপ নিউজ বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী রুহুল কবীর রিজভী