Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে বিডিবিএলের চুক্তি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১২ মে ২০২৪ ১৬:২৩ | আপডেট: ১২ মে ২০২৪ ১৮:১৩

ঢাকা : অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠানিকভাবে একীভূত হচ্ছে অপর রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল)। পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের পর এবার আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি করেছে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংক দুটি।

রোববার (১২ মে) ব্যাংক দুইটির পরিচালনা পর্ষদই একীভূত হওয়ার জন্য প্রাথমিক চুক্তি সম্পন্ন করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুই ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এ সময় উভয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

খেলাপি ঋণ আদায় করতে না পেরে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বিডিবিএল একীভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) চেয়ারম্যান শামীমা নার্গিস।

বিডিবিএল চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিডিবিএল এর চারটি ইনডিকেটরের মধ্যে তিনটিই ভালো আছে। শুধু একটিতে একটু দুর্বল অবস্থায় আছে। তা হলো খেলাপি ঋণ। আগে যেটি ৪১ শতাংশ ছিল, আমরা সেটি কমিয়ে ৩৪ শতাংশে নিয়ে এসেছি। মার্জারের যে নীতিমালা আছে চারটি ইন্ডিকেটরের মধ্যে খেলাপি ঋণের বিষয়টা আলাদা গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণ শুধুই আমার একটিভনেস না, যার যে খেলাপি তাকেও এগিয়ে আসতে হবে। সে যদি এগিয়ে না আসে তার জামানত বিক্রি করতে হলেও আমাকে অনেকগুলো ধাপ অর্থঋণ আদালত, অর্থ আদালত, মামলা এসব ধাপ অতিক্রম করে আসতে হবে। যেটি কোনোভাবেই ছয় মাসে সম্ভব না।’

বিডিবিএল সময় নিতে পারত তারপরও কেন মার্জারে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রাইভেট ব্যাংকগুলো যেমন গ্যারান্টি দিচ্ছে, আগামী এক বছরে এত হাজার কোটি টাকা আনবো আমি সেই গ্যারান্টি দিতে পারছি না। কারণ আমাদের ব্রাঞ্চের সংখ্যা কম। মাত্র ৫০ টি। কাজেই আমি যে সময় নিব বাংলাদেশ ব্যাংক তো আর আমাকে ৫-১০ বছর সময় দেবে না।’

বিজ্ঞাপন

বিডিবিএলর কর্মীরা মার্জারে না যেতে খোলা চিঠির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিডিবিএল চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখানে দুই ব্যাংকের পর্ষদ মিলে একীভূতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাজেই তারা অনেককিছু প্লাস-মাইনাস করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেটি বেটার হয় সেটিই করা হয়েছে।’

এসময় সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা অনেক চিন্তাভাবনা করেই মার্জারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা কোনো চাপের মুখে নয়, নিজেরাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দুই ব্যাংকের দুই ধরনের অভিজ্ঞতা আছে। সেগুলা কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যাব। আজকে বিডিবিএলের চেয়ারম্যানও ছিলেন এখানে। তার কিছু প্রশ্ন ছিল। গভর্নর সেগুলোর সন্তোষজনক জবাব দিয়েছেন।’

সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের এই মুহূর্তে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা রয়েছে। অপরদিকে বিডিবিএলের রয়েছে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। যা প্রায় ৫০ ভাগের এক ভাগ। সে অবস্থা লোনের ক্ষেত্রেও। কাজেই এটা সোনালী ব্যাংকে খুব বেশি ইফেক্ট পড়বে না। আর বিডিবিএল এর এমপ্লয়িদের শঙ্কা বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের প্রায় ৮ হাজার কর্মী আছে তারপরও অনেক লোকবল শর্ট আছে, আর বিডিবিএল’র ছয়শর মতো কর্মী আছে। সুতরাং তাদের শঙ্কার কিছু নেই।’

সারাবাংলা/জিএস/একে

একীভূত চুক্তি টপ নিউজ বাংলাদেশ ব্যাংক বিডিবিএল সোনালী ব্যাংক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর