ঢাকা: কৃষক লীগকে শহরের মধ্যে আটকে না রেখে গ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘কৃষক লীগকে শহরের মধ্যে আটকে না রেখে গ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়াই ভালো। আমি তো মনে করি বাংলাদেশ কৃষক লীগের ধানমন্ডি শাখা, বনানী শাখা, গুলশান শাখা, বারিধারা শাখা; এসবের কোন প্রয়োজন আছে।’
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একসময় এমনও ছিল শুনতাম কুয়েতে কৃষক লীগ, কাতারে কৃষক লীগ, সৌদি আরবে কৃষক লীগ, আমেরিকায় কৃষক লীগ! কারা কৃষক? ওই যে বিদেশে থাকে, জায়গা হয় না? সব সংগঠনে ঢুকেছে? নতুন দোকান খুললে নতুন লোক আসে! সেখানে একত্রিত হয় আরও নানান বিষয় আছে? তো যাক, সেই বৃত্ত থেকে কৃষক লীগ বেরিয়ে এসেছে।’
সেজন্য কৃষক লীগের নেতাদরকে আন্তরিক ধন্যবাদও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আজকে সারা বিশ্বে সংকট। এ অবস্থায় কৃষির অর্থনীতি হচ্ছে আমাদের দেশের অর্থনীতির প্রাণ ভ্রমরা এবং এটাই প্রমাণিত হয়েছে কৃষি বাঁচলে বাংলাদেশের অর্থনীতি বাঁচবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে কৃষককে বাঁচাতে হবে ।’
বিএনপি মহাবিপদে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে যারা বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলেন, যারা আজ কথায় কথায় সরকারের, গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন, আজকে যারা আন্দোলন করতে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ তারা গণতন্ত্রের সমালোচনা করে। বাংলাদেশকে নিয়ে কথায় কথায় ফখরুল বলে মহাবিপদ। মহাবিপদে আছে বিএনপি। নেতা লন্ডনে, কর্মীরা হতাশ। কী করবে? হাল ধরার কেউ নেই। বিএনপি পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা। এই দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না।’
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলীসহ কৃষক লীগের নেতারা।