ভাষানটেকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৩

ফাইল ছবি

ঢাকা: রাজধানীর ভাষানটেক কালভার্ট রোডে একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধের ঘটনায় স্ত্রী সূর্য বানু (৩০) মৃত্যুর পর মারা গেলেন স্বামী লিটন মিয়া (৪৮)। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হলো।

মঙ্গলবার (১৬এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান লিটন। বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, ভাষাানটেক থেকে আসা দগ্ধ লিটন নামে আরও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার শরীরের ৬৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গতকাল সন্ধ্যায় মারা যায় লিটনের স্ত্রী সূর্য বানু। এর আগে গত শনিবার সকাল ৮টার দিকে মারা যান লিটনের শাশুড়ি মেহেরুন্নেছা (৬৫)।

বর্তমানে লিটনের মেয়ে লিজা ৩০ শতাংশ, লামিয়া ৫৫ শতাংশ ও ছেলে সুজন ৪৩ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

মৃত লিটনের ভাই সোহরাব মিয়া জানান, তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার দিঘিনালা উপজেলায়। বাবার নাম মৃত আলী নেওয়াজ। এবং সূর্য বানুর বাড়ি কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার রনুসো গ্রামে। সূর্য বানুর বাবার নাম মৃত আসাদ আলী। স্বামী লিটন ও সন্তানসহ ভাষানটেক এলাকায় ভাড়া থাকত তিনি।

এর আগে, গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে ভাষানটেক নতুন বাজার কালভার্ট রোডের ৪/১৩ নম্বর বাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন মো. লিটন (৪৮), তার স্ত্রী সূর্য বানু (৩০), তাদের ৩ সন্তান লিজা (১৮), লামিয়া (৭), সুজন (৮), ও লিটনের শাশুড়ি মেহরুন্নেছা (৬৫)।

তাদের প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া ময়না বেগম জানান, লিটন পরিবার নিয়ে কালভার্ট রোডের ২ তলা বাড়িটির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন। এলাকাতেই ফার্নিচার ব্যবসা রয়েছে তার। রাতে ওই বাসায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। জানতে পেরেছি ভোরে লিটন মশার কয়েল জালানোর জন্য দিয়াশলাই জালাতেই আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে পরিবারটির ছয়জনই দগ্ধ হন।

তিনি জানান, বাসাটিতে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে রান্না করতেন তারা। সবাই ধারণা করছেন, সিলিন্ডার থেকে লিকেজের কারণে বাসায় গ্যাস জমে ছিল। মশার কয়েলের জন্য দিয়াশলাই জালাতেই সেই গ্যাস থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।

সারাবাংলা/এসএসআর/এনএস

টপ নিউজ ভাষানটেক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ