Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নববর্ষকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত রাজশাহী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৩ এপ্রিল ২০২৪ ২০:২৯

রাজশাহী: ১১ এপ্রিল ছিল ঈদুল ফিতর। আর আসছে ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ বা বঙ্গাব্দ। এদিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ পালন করবে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি। এ বছর বাঙালি ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ পাশাপাশি উদযাপন করতে যাচ্ছে। পাশাপাশি সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে এই দুই উৎসবকে ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা বেশি। ফলে ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে বাংলাদেশে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

এদিকে, নতুন বছরকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত রাজশাহীবাসী। এর আগে, গেল চার বছর করোনা ও রোজার কারণে সেভাবে পালন হয়নি বাঙালির এই প্রাণের উৎসব। কিন্তু এবারের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। তাই আয়োজনেও রয়েছে নানান বৈচিত্র্য। এদিন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের আয়োজনে হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। সকাল ৯টায় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে গিয়ে শেষ হবে। সকাল ১০টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে। এ ছাড়াও, এদিন বিকেলে বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমিতে নাটক মঞ্চায়িত হবে।

বিজ্ঞাপন

তবে এবারও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো আয়োজন থাকছে না। রাবির চারুকলার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, ঈদের ছুটির কারণে এবার কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে না। বৈশাখের শেষ দিন অথবা জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম দিন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে যার নাম দেওয়া হবে ‘কালবৈশাখী’ উৎসব।

প্রতিবারের মতো এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রা করবে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট রাজশাহী। জোটের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ বলেণ, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও আমাদের মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ৮টায় নগরীর আলুপট্টি থেকে শুরু হবে শোভাযাত্রা। এরপর মুক্তিযোদ্ধা পাঠাগারে ইলিশ পান্তা ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। বিকেলে নগরীর লালনশাহ মুক্তমঞ্চে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বিজ্ঞাপন

চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এ বছর পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে আমরা উপাচার্য স্যারের সঙ্গে বসেছিলাম। এখন ক্যাম্পাস ছুটি থাকায় শিক্ষার্থীরা সবাই প্রায় বাড়িতে রয়েছেন। আর শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা ছাড়া এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব নয়। তাই সবাই মিলে আলোচনা করে ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানটা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা একটা প্রস্তাব দিয়েছে যে, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের পরিবর্তে ‘কালবৈশাখী’ নামে বৈশাখ মাসের শেষ দিন অথবা জৈষ্ঠ্য মাসের প্রথম দিন একটা অনুষ্ঠান আয়োজন করা যায়। আমরাও অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

অন্যদিকে, বাঙালি ব্যবসায়ীদের হালখাতা শুরু হয় ১৪৩০ বঙ্গাব্দের বিদায়ী মাসের শেষ কয়েকদিন ও আগমনী ১৪৩১ বর্ষের শুরুর কয়েক দিনকে ঘিরে। এর মধ্যে মুখ্য হয়ে দেখা দেয় পহেলা বৈশাখ, যা বৈশাখী উৎসব হিসেবেই আমাদের সকলের কাছে পরিচিত ও বিশেষভাবে নন্দিত।

সারাবাংলা/পিটিএম

টপ নিউজ নববর্ষ প্রস্তুত বরণ রাজশাহী

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর