Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতি: ৪০ জনের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৫ এপ্রিল ২০২৪ ২০:০০ | আপডেট: ৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৪৫

বাগেরহাট: বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতির ঘটনায় ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় পুলিশ এরই মধ্যে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দিনগত রাতে এবং শুক্রবার সকালে রামপাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করে রামপাল থানা পুলিশ। পরে ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোমেন দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসিক ভবনের গেটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় অস্ত্রধারী ডাকাতদের হামলায় দুই আনসার সদস্যসহ পাঁচ নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম জানান, গেল (৪ এপ্রিল) গভীর রাতে আনসার ব্যাটালিয়ন হাবিলদার মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় গ্রেফতার ১২ আসামির মধ্যে ১১ জনকে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বাগেরহাট আমলী আদালত-২ এর বিচার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রে মো. কামরুল আজাদ আসামিদের কারাগারে পাঠান।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন মো. মানিক শেখ (৩৫), মো. ফজলু গাজী(৫৫), মো. সলাম শেখ (৩০), মো. মনি গাজী(৪০), মো. নূর নবী শেখ (১৯), মো. আসাদ মোল্লা(৩৩), মো. আব্দুল্লাহ (৩৩), মো. বায়জিদ (৩৭), মো. রুবেল শেখ (২৬), মো. মানজুর গাজী (২৮), মো. আছাবুর গাজী( ২৯)। এদের সবার বাড়ি রামপাল উপজেলায়। মামলা দায়েরের আগেই সন্দেহভাজন হিসেবে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব আসামিকে আটক করে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া ঘটনার দিন গুলিবিদ্ধ আছাবুর গাজী নামে এক আসামি পুলিশ হেফাজতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে , বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত সোয়া দশটার দিকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যাটারিয়াল ইয়ার্ডের তিন নম্বর টাওয়ারের সীমানা প্রাচীর কেটে ৫০-৬০ জন সশস্ত্র ডাকাত দল ভিতরে ঢুকলে দেখে নিরাপত্তাকর্মীরা চিৎকার দেয়। এসময় অস্ত্রধারীরা নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এক পর্যায়ে আনসার সদস্যরা এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা হয়। এতে নিরাপত্তা সুপারভাইজার আকরাম, প্রহরী মো. শেখ সাইদুল ইসলাম, মিন্টু বৈরাগী, ব্রজেন মণ্ডল ও আনসার ব্যাটালিয়ন হাবিলদার কামাল পাশা গুরুতর আহত হন। জীবন বাঁচাতে ও সরকারি সম্পদ রক্ষায় কামাল পাশা তার নিজ নামে ইস্যুকৃত আগ্নেয়াস্ত্র এসএমজি দিয়ে ৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তখন অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়।

এ সময়ে সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা ১ হাজার ৫শ কেজি লোহা নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৯০ হাজার টাকা। আহতদের মধ্যে কামাল পাশা ও মিন্টু বৈরাগী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অন্য তিনজন রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৌমেন দাস বলেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডাকাতির চেষ্টা ও মালামাল লুটের ঘটনায় একজন আনসার সদস্য মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এজাহার নামীয় ১১ জন আসামিকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার আরও এক আসামি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সারাবাংলা/একে

টপ নিউজ ডাকাতি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রামপাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর