পাহাড়ে যা যা করা দরকার, সব করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০১ | আপডেট: ৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০২
ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক লুটের ঘটনায় যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের যা যা করার, আমরা করব। এখানে যারা জড়িত বা যার এসব করেছে আমরা সবগুলোর ব্যবস্থা নেব।’
বুধবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার হঠাৎ করেই পাহাড়ে ব্যাংক ডাকাতির চেষ্টার খবর শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজও (বুধবার) দিনের বেলায় আমরা দেখলাম, থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে আক্রমণ করেছে। এই অপারেশনটা এখনও চলছে। আমাদের পুলিশ সেখানে গোলাগুলি করছে। সেখান থেকে কত টাকা নিয়ে গেছে বা ক্ষয়ক্ষতি কী পরিমাণ তা এখন জানানো যাচ্ছে না।‘
‘রুমার ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত যা শুনেছি, আমাদের আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে অবস্থান করছেন। রুমাতে সোনালী ব্যাংকে ঢোকার আগে বৈদ্যুতিক যে সাব-স্টেশন ছিল সেটাকে বন্ধ করে তারা ব্যাংকের দিকে অগ্রসর হন। সেখানে পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশ ও ব্যাংকের ম্যানেজার সবাই তারাবির নামাজে ছিল। সেই সময় তারা ঢুকে দুই পুলিশকে আহত করে দুটি এসএমজি ও আটটি চাইনিজ রাইফেল লুট করে। উপজেলা কমপ্লেক্সে আনসারদের শর্টগানগুলোও তারা নিয়ে নেয়’, বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের একটা ভল্ট ভেঙেছিল তারা, আরেকটা মনে হয় ভাঙতে পারেনি। অফিসিয়াল নিউজ এখনও পাইনি। আমরা যতটুকু শুনেছি তাই বলছি। সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে। কত টাকা নিয়েছে, সেটা এখনও অফিসিয়ালি আসেনি।’
কুকি চিন যে গ্রুপটি রয়েছে, তারা আগেও বান্দরবানে একটি জায়গায় অবস্থান করে জঙ্গি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে একটা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছিল বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের র্যাব ও আর্মি সেই ঘাঁটি সরিয়ে দিয়েছে। ইদানিং কুকি চিন আবার বিভিন্নভাবে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে।’
সারাবাংলা/জেআর/এমও