Friday 19 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খলিলের দোকানে মাংসের কেজি ৫৯৫ টাকা, দিনে যাচ্ছে ৪৫টি গরু!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৩ মার্চ ২০২৪ ২৩:০১ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ১১:১৬

ঢাকা: রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুর। এখানেই আছে সুলভ মূল্যের মাংসের দোকান ‘খলিল গোস্ত বিতান’। যেখানে রমজান মাস উপলক্ষ্যে ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানীর একমাত্র মাংস বিক্রেতা খলিলুর রহমান খলিল এত কমদামে ক্রেতার কাছে মাংস বিক্রি করছেন। ফলে দিনে প্রায় অর্ধ শতাধিক গরু জবাই করতে হচ্ছে।

এর আগে, ঘোষণা দিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নিয়ে মাংস বিক্রি উদ্বোধন করেন। যা গণমাধ্যমগুলো খুব ভালোভাবে প্রচার করেছে। এ কারণে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই মাংস কিনতে ভিড় জমিয়েছেন খলিলের দোকানে।

বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় খলিলের মাংসের দোকানে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। প্রথমে লম্বা লাইন দেখে অন্যরকম ভাবনা মাথায় আসতে পারে। কিন্তু একটু এগিয়ে গেলেই দেখা যায়, মাংস কেনার লাইন। এসব লোক খলিলের দোকানে গরুর মাংস কিনতে এসেছেন। কেউ কেউ আবার লম্বা লাইন দেখে ফিরে যাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

যাত্রাবাড়ী থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম। তিনি একবেলা রোজাদারদের ইফতারি করাবেন। সেজন্য তিনি এক মণ মাংস কিনতে এসেছেন। কিন্তু লম্বা লাইন দেখে হতাশ। কখন এই লাইন শেষ হবে- সেই চিন্তার ভাঁজ তার কপালে। আবার লাইন শেষ হতে হতে মাংস মিলবে কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।

দক্ষিণ বনশ্রী থেকে এসেছেন মুদি দোকানি আফজাল হোসেন। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘পাঁচ কেজি মাংস নিতে এসেছি। এখানকার মাংস অনেক ভালো এবং দামও কম, তাই এসেছি। অথচ দেখেন কত লম্বা লাইন। আজ মাংস কিনতে পারব কিনা জানি না।’

রাজধানীর আজিমপুর থেকে এসেছেন কবির শিকদার। সারাবাংলার এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘দিনে আসতে পারি না যানজটের কারণে। সেজন্য ভাবলাম, ইফতারের পর যাব। কিন্তু সে ভাবনা ভুল প্রমাণিত হলো। এখন এত লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভাবছি, মাংস পাব কিনা।’

জানতে চাইলে দোকানের মালিক খলিল সারাবাংলাকে বলেন, ‘সকাল থেকে মাংস বিক্রি চলছে। কারিগররা অনেক ক্লান্ত। আজ সারাদিন ৪০টি গরু জবাই হয়েছে। আর পাঁচটি আছে, যা রাত ১০টার আগেই শেষ হয়ে যাবে। লাইনে যত লোক আছে তাদের সবার মাংস হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।’

লাভের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রোজার মাস সবাই যেন গোসত কিনে খেতে পারে সেজন্য ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করছি। লাভ কম হলেও বেশি গরু জবাই করছি, আর তাতেই পুষিয়ে যাচ্ছে। এখানকার মাংস নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সবার সামনে গরু জবাই করা হচ্ছে। তার পর তাদের সামনেই মাংস কেটে দেওয়া হচ্ছে।’

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম