গণধর্ষণে তরুণীর মৃত্যু, গ্রেফতার ২
৭ মার্চ ২০২৪ ০০:৪১ | আপডেট: ৭ মার্চ ২০২৪ ০০:৫৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে দলবদ্ধ ধর্ষণে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। নগরীর হালিশহর থানা পুলিশ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হালিশহর থেকে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে আটকে রাখেন অভিযুক্তরা। ক্রমাগত পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করেছে। এরপর রাতভর অভিযানে নগরীর পাঁচলাইশ ও পটিয়ায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করে।
মৃত বিবি রহিমা আক্তার (২০) নগরীর হালিশহর থানার ছোটপুল এলাকার বাসিন্দা। গ্রেফতার দুজন হলেন— ওবায়দুল করিম (৩৩) ও মো. সেলিম (৪৩)।
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কায়সার হামিদ সারাবাংলাকে জানান, সেলিমের সঙ্গে রহিমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২৬ জানুয়ারি তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেলিম পাঁচলাইশের কসমোপলিটন আবাসিক এলাকায় নিজের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন সেলিম। এরপর তাকে নিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যান সেলিম।
‘যাত্রাবাড়ির ঘটনাস্থলটি আমরা এখনো শনাক্ত করতে পারিনি। তবে আসামিদের স্বীকারোক্তি ও তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সেখানেই একমাসেরও বেশি সময় আটকে রেখে কয়েকজন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। চারজন তাকে ধর্ষণে জড়িত ছিল বলে তথ্য পেয়েছি,’— বলেন ওসি কায়সার হামিদ।
এ ঘটনায় রহিমার ভাইয়ের করা মামলার তথ্য অনুযায়ী, পাশবিক নির্যাতনে গুরুতর আহত রহিমাকে গত সপ্তাহে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। ২৮ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি হাসপাতাল থেকে রহিমার ভাইকে জানানো হয়। ১ মার্চ অবস্থার অবনতি হলে তার ভাই তাকে চমেক হাসপাতালে এনে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেন। মঙ্গলবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
ওসি কায়সার হামিদ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা গিয়ে লাশ হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করি। এরপর দুজন আসামিকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করি। তারা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মূল অপরাধী সেলিম। তিনি তার সঙ্গীদের নিয়ে গণধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতনের মাধ্যমে রহিমাকে হত্যা করেছেন। আমরা ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।’
সারাবাংলা/আরডি/টিআর