ক্লাসে পিস্তল নিয়ে ঢুকে শিক্ষার্থীকে গুলি, পুলিশ হেফাজতে শিক্ষক
৪ মার্চ ২০২৪ ১৮:৫৩ | আপডেট: ৪ মার্চ ২০২৪ ২১:৪০
সিরাজগঞ্জ: শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে আরাফাত আমিন তমাল নামের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। ঘটনার পর ওই শিক্ষককে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে ফরেনসিক মেডিসিন আইটেম ক্লাস চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুলহাস উদ্দিন তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, ডা. রায়হান শরিফ বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের কু-প্রস্তাব দিতেন ও ভয়ভীতি দেখাতেন। এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনিক রায়হান শরিফ কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষক হওয়ার পরও নিজস্ব ক্ষমতা দেখিয়ে ফরেনসিক বিভাগে ক্লাস নিয়ে থাকেন। ক্লাস চলাকালীন ছাড়াও প্রায় সময়ই তিনি পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করতেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আজ বিকেলে দেশি পিস্তল ও বেশ কয়েকটি ধারালো চাকু নিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করেন ডা. রায়হান শরিফ। এর পর তিনি ভাইভা চলাকালীন ৪৫ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে ৮ম ব্যাচের (২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করে। এর পর ওই শিক্ষক ধরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। আর আহত অবস্থায় তমালকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। পরিতিস্থি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ওসি জুলহাস উদ্দিন জানান, ওই শিক্ষক প্রতিদিন ক্লাসে পিস্তল নিয়ে আসতেন। আজ বিকেল ৫টার দিকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষক রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিতে আহত হন শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/পিটিএম