‘জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রণয়ন’
২ মার্চ ২০২৪ ১৮:৫১ | আপডেট: ২ মার্চ ২০২৪ ২০:৪১
খুলনা: ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রণয়ন করেছে সরকার।
তিনি বলেন, এই ডেল্টা প্ল্যানের লক্ষ্য হলো পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব বজায় রাখা। পরিকল্পনা মোতাবেক মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।
শনিবার (২ মার্চ) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিন আয়োজিত পরিবেশের ওপর টাইম ফর ন্যাচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক দুই দিনব্যাপী দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পরিকল্পনা ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন দেশের পরিবেশগত বাস্তুতন্ত্র, জীবিকা এবং অর্থনীতির মেরুদন্ড আর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এ বনের নিকটতম গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। সে হিসেবে সুন্দরবন নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। এই সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালা টেকসই স্থানীয় সমাধানগুলোর সঙ্গে পরিবেশগত ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রচেষ্টা এবং অনুশীলনকে উন্নত করবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্লেনারি স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। প্যাট্রন হিসেবে বক্তব্য দেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ। স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী। ধন্যবাদ জানান সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. মুজিবুর রহমান।
দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে ১২৮টি মোখিক প্রেজেন্টেশন, ৪৮টি পোস্টার প্রেজেন্টেশন, ছয়টি কি-নোট পেপারসহ ১৮৩টি গবেষণা নিবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। সম্মেলন শেষে একটি সুপারিশমালা প্রস্তুত করা হবে। এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, ভূটান, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পোল্যান্ড, ইতালি এবং জার্মানি থেকে ২৪৫ জন দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী সশরীরে এবং ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
সারাবাংলা/এনইউ