বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন: ৪ মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৩০ | আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:২৩
ঢাকা: ৪০ দিন পর রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চারজনের পোড়া মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর মরদেহগুলো হস্তান্তর করল পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহ ৪টি হস্তান্তর করা হয়। ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহম্মমেদ বিশ্বাস স্বজনদের কাছে এসব মরদেহ হস্তান্তর করেন।
নিহতরা হলেন- রাজবাড়ির আবু তালহা (২৩), পুরান ঢাকার নাতাশা জিয়াসমিন নেকি (২৫), রাজবাড়ির চন্দ্রীমা চৌধুরী সৌমি (২৮) ও রাজবাড়ির এলিনা ইয়াসমিন (৪৪)।
ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ওসি ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেসের ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চারটি মরদেহ একেবারেই পোড়া ছিল দেখে শনাক্ত করার পর্যায় ছিল না। পরে আদালতের আদেশে দাবি করা স্বজনদের ও পোড়া মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি ল্যাবে ক্রস ম্যাচিংয়ে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে থেকে স্বজনদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে এলিনা ইয়াসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন ভাই মনিরুজ্জামান মামুন। নাতাশার জেসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই খুরশীদ আহমেদ। আবু তালহার মরদেহ গ্রহণ করেন মামা মনিরুল ইসলাম এবং চন্দ্রীমা চৌধুরীর মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই ডা. দিবাকর চৌধুরী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এলিনা ইয়াসমিনের স্বামী সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন চপল বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আজ আমার স্ত্রীসহ কয়েকজন মারা গেলেন। আমার বাচ্চা সারাজীবন কি বলবে? বাচ্চাটি কিভাবে মূল্যায়ন করবে? রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সাধারণ জনগণ কেন ভোগ করবে? এগুলো থেকে মুক্তি চাই। সবাই আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।’
নাতাশার বড় ভাই খুরশীদ আহম্মেদ বলেন, ‘৪০দিন অপেক্ষার পর আমার বোনের মরদেহ বুঝিয়ে পেলাম। এই ৪০দিন যে আমাদের পরিবারের কিভাবে কেটেছে তা বুঝানো যাবে না। এরকম ঘটনার স্বীকার যেন কেউ না হয়। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
সারাবাংলা/এসএসআর/এনএস