আরও ৪ পণ্যের জিআই আবেদন জার্নালে প্রকাশ
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:২৩ | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:২৫
ঢাকা: দেশের আরও চারটি পণ্যের ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পথ সুগম হয়েছে। নিজ নিজ জেলা থেকে আবেদনের পর এরই মধ্যে সেই আবেদন জিআই জার্নালে প্রকাশ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন প্যাটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর (ডিপিডিটি)। আগামী দুই মাসের মধ্যে এসব আবেদনের বিরুদ্ধে কোনো বিরোধিতা না এলে রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজরের আগর ও আগর আতর এবং মুক্তগাছার মন্ডা জিআই সনদ তথা জিআই পণ্য হিসেবে চূড়ান্ত স্বীকৃত পাবে।
এই চার পণ্যের জিআই স্বীকৃতির আবেদন জার্নালে প্রকাশের তথ্য জানিয়ে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে জিআই স্বীকৃতি পাওয়া পণ্যের সংখ্যা ২১টি। গত সপ্তাহেই টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃতসাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার জিআই স্বীকৃতির আবেদন নিয়ে জিআই জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে। ওই তিনটি ও নতুন চারটি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেলে দেশের জিআই পণ্য হিসেবে চূড়ান্ত স্বীকৃতি পাওয়া পণ্যের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৮টিতে।
আরও পড়ুন-
- টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি পেতে আবেদন
- জিআই স্বীকৃতি কী-কেন-কীভাবে, এর গুরুত্ব কতটুকু
- টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই জার্নাল প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর
- টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতির আবেদন প্রকাশ পেল জার্নালে
- জিআই নিয়ে ভারতের ঘোষণা সাংঘর্ষিক হলে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আরও দুটি পণ্যের জিআই স্বীকৃতির আবেদন যাচাই-বাছাই পর্যায়ে রয়েছে। সেগুলো হলো— জামালপুরের নকশি কাঁথা ও যশোরের খেজুর গুড়। আগামী সপ্তাহে এই দুটি পণ্যের আবেদন জিআই জার্নাল আকারে প্রকাশ পেতে পারে বলে জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০০৩ সালে বাংলাদেশে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর (ডিপিডিটি) যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এটি প্যাটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর (ডিপিডিটি) নামে পরিচিত। শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ফলে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন, ২০১৩ পাস হয়। এর দুই বছর পর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বিধিমালা, ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়। এরপর থেকেই দেশীয় বিভিন্ন পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে।
২০১৬ সালে জামদানি শাড়ি দেশের প্রথম পণ্য হিসেবে জিআই সনদ পায়। এরপর এখন পর্যন্ত জিআই সনদ পেয়েছে আরও ২০টি পণ্য। এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন কুষ্টিয়ার তিলের খাজা।
জিআই সনদ পাওয়া বাকি ১৯টি পণ্য হলো— বাংলাদেশের ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুর কাটারীভোগ, বাংলাদেশ কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম, বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি, বাংলাদেশের শীতল পাটি, বগুড়ার দই, শেরপুরের তুলশীমালা ধান, চাঁপাই নবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম ও কুমিল্লার রসমালাই।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃতসাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার জিআই জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে। এগুলোর কপি রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর
জিআই জার্নাল জিআই পণ্য জিআই স্বীকৃতি টপ নিউজ মুক্তগাছার মন্ডা মৌলভীবাজরের আগর মৌলভীবাজারে আগর আতর রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম