Monday 15 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২৩ অনুপ্রবেশকারীকে অস্ত্রসহ পুলিশে সোপর্দ, মামলাও করল বিজিবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:২৫ | আপডেট: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৪০

কক্সবাজার: মিয়ানমারে সংঘাতের মধ্যে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমারের ২৩ নাগরিককে পুলিশের কাছে সোপর্দ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। এব্যাপারে বিজিবি বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় বিজিবি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে। অনুপ্রবেশকারীদেরকে এদিন পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, এ সংক্রান্ত মামলায় বিভিন্ন ধরণের ১২ থেকে ১৫ টি অস্ত্রও বিজিবির পক্ষে পুলিশকে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাটি নথিবদ্ধ করে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার জানান, পুলিশের কাছে অস্ত্র সহ সোপর্দকারি ২৩ জনই মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক।

তবে বিষয়টি নিয়ে বিজিবির পক্ষে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মঙ্গলবার ভোর ও রাতে সীমান্ত দিয়ে কিছু অস্ত্রধারীরা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে। যাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছিল। যদিও এর মধ্যে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপের কিছু সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকে পড়েছে বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার রহমতবিল, আনজুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে অনেকে পালিয়ে এসেছে। এদের বেশিভাগই বিজিবি হেফাজতে অস্ত্র জমা দিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এর বাইরে আরও ৩০ জনের বেশি অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ এদের বিজিবি হেফাজতে দিয়েছে বলে জেনেছেন। এর বাইরে কিছু অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করার তথ্য বিভিন্নভাবে পাওয়া যাচ্ছে। যা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) আলতাজ হোসেন জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেনের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের একটি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে থাকত বলে শুনেছি। রহমতবিল সীমান্তের ওপারে এসব সন্ত্রাসীরা আস্তানা করে ছিল। সংঘর্ষের ঘটনার পর সেই গোষ্ঠীটি অস্ত্র সহ অনুপ্রবেশ করে ক্যাম্পে প্রবেশ করেছে। মঙ্গলবার ভোর ও রাতে এই গোষ্ঠির অন্তত ৫০-৬০ জন অস্ত্র নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকে গেছে। যদিও একই চক্রের ৩০-৩৫ জন অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাকে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় লোকজন আটক করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সোপর্দ করেছে।

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮-এপিবিএনএর সহ অধিনায়ক পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করার বিষয়টি জানি না। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রধান নবী হোসেন ও তার সদস্যরা মিয়ানমার থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের তথ্য জানা গেছে। সে ক্যাম্পে প্রবেশ করতে পারে এমন আশংকায় সর্বোচ্চ সর্তকতা পালন করা হচ্ছে। তাকে পাওয়া মাত্রই গ্রেফতার করা হবে। এছাড়া সন্ত্রাসী সহ ক্যাম্পে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য এপিবিএন সজাগ রয়েছে।

সারাবাংলা/এনইউ
বিজ্ঞাপন

ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় মামলা
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:২৯

আরো