‘৩ মাসে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতায় ৬০০ যানবাহন ভাঙচুর, নিহত ১৩’
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:১৯
ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা গত বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে সহিংস কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশে ছয় শতাধিক যানবাহনে ভাঙচুর করেছে এবং তাদের নাশকতায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হরতাল ও অবরোধের নামে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম চলমান বলেও তিনি জানান।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আবদুল্লাহর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৮৪টি যাত্রিবাহী বাস, ৪৮টি ট্রাক, ২৮টি কাভার্ড ভ্যান, তিনটি সিএনজি অটোরিকশা, চারটি প্রাইভেট কার, ১১টি পিকআপ ভ্যান, ১৫টি মোটরসাইকেল ও পাঁচটি ট্রেনসহ ৩২৮টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে একটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি বৌদ্ধ মন্দির ও কয়েকটি বসতঘরেও আগুন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলাই লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতাল-অবরোধে ড্রাইভার, হেলপার, পুলিশ, বিজিবি, শ্রমিক, মুক্তিযোদ্ধাসহ বহু লোক নিহত, আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। বিএনপি ক্যাডাররা অসংখ্য যানবাহন জ্বালিয়ে দিয়েছেন। হরতাল-অবরোধের নামে নাশকতার ঘটনায় সারাদেশে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৫ সদস্য আহত হয়েছেন।
সংসদে নেতা বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস, নাশকতা, অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড প্রভৃতি অপরাধে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, বিচার ব্যবস্থা ও প্রচলিত আইন রয়েছে। হরতাল ও অবরোধের নামে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার বিভিন্ন আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন-
এবার সব থেকে অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
‘মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিতে আওয়ামী লীগ অঙ্গীকারবদ্ধ’
‘১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে ১ কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর
নাশকতা প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াত শেখ হাসিনা সংসদ অধিবেশন হরতাল-অবরোধ