নওফেলের গণসংযোগ শেষে মারামারিতে সমর্থকরা
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:০৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনি প্রচারের সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসময় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ভাঙচুর করা হয়।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর কাজির দেউড়ির ১ নম্বর গলিতে নওফেলের নির্বাচনী কার্যালয় থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নির্বাচনী প্রচার শেষে কাজির দেউড়ির ১ নম্বর গলির নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কর্মী সমর্থকদের মধ্যেই চেয়ারে বসা ও স্লোগান দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। কিন্তু প্রার্থী উপস্থিত থাকায় সবাই শান্ত ছিলেন। পরে নওফেল চলে গেলে দুটি পক্ষের মধ্যে মারামারি বাঁধে ।এসময় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে এস আলম টাওয়ারের সামনে নিয়ে আসেন ।
ঘটনায় আহত আমিনুল ইসলাম মিজান নামে একজন বলেন, ‘আমরা নওফেল ভাইয়ের প্রচারে প্রায় ৫’শতাধিক কর্মী এসেছিলাম । এরপর বাগমনিরাম ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিনের লোকজন আমাদের উপরে হামলা করেন।’
তাদের আরও এক কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। স্লোগান নিয়ে নিয়ে একটু উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। আর যারা বলছে আমার লোক হামলা করেছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন তারা কোত্থাকার। তারা সবাই বহিরাগত। তাদের আমার ওয়ার্ডে কি কাজ।’
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়দুল হক সারাবাংলাকে জানান, ‘ঘটনার পরপরই সেখানে আমাদের মোবাইল টিম পাঠানো হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় কাজির দেউড়ির পুরাতন সিডিএ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় জামালখান ওয়ার্ডের যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হান্নানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে দুর্বত্তরা।
এ ঘটনায় এক যুবককে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তার নাম নুরুদ্দিন বলে জানা গেছে।’
যুবলীগ নেতা হান্নানের বড় ভাই শেখ নাছির সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা নওফেল ভাইয়ের প্রচারে ছিলাম। পরে শুনি এখানে আমার ভাইয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা এখানে আসার পর দেখি দোকানের গ্লাস ভাঙিা। আমাদের আসার আগে আশেপাশের লোকজন একটি ছেলেকে আটক করে।’
‘সে ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশকে সে জানিয়েছে, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ নামে একজন তাকে এ কাজ করতে বলেছে। ছেলেটি এ ভবনে চা-নাস্তা আনা নেওয়ার কাজ করত।’
সারাবাংলা/আইসি/একে