Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভোলায় ঘূর্ণিঝড়ে সাড়ে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৭ নভেম্বর ২০২৩ ২২:৫১

ভোলা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় মিধিলি আঘাতে ভোলা জেলায় প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভোলার বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে চরফ্যাশন উপজেলায়। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জেলায় পাঁচ শতাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসল ক্ষেতের।

জেলার সাত উপজেলার মধ্যে পাঁচটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রথামিক তথ্যে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলায় ১০ ঘর পুরোপুরি ও ২০টি ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ৫টি ঘর, লালমোহনে ৫০টি, মনপুরায় ৫২টি এবং চরফ্যাশনে ২১৯টি কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রায় সব উপজেলায় আমন ধানেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।

চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার জানান, দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির দমকা হাওয়াসহ আঘাত হানে তার ইউনিয়নে। এটা অনেকটা টর্নেডোর মতো ছিল। পরে ঘূর্ণিঝড়টি ঢালচরের পূর্ব দিক দিয়ে তার ইউনিয়ন অতিক্রম করে। এতে ঢালচর ইউনিয়নের বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয় ও গাছপালা উপড়ে যায়। কিছু মাছ ধরার ট্রলারও ডুবে যায়। পরে ডুবে যাওয়া ট্রলারের জেলেদেরকে জীবিত উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে আনা হয়।

একই উপজেলার চরকুকরি-মুকররি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানান, ঝড়ে তার ইউনিয়নের বহু ঘর-বাড়ি লন্ডপন্ড হয়ে গেছে। টিনের ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গাছের ওপর ফেলেছে। কয়েকটি কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, মূলত দুপুরের আগ থেকে বিকেল পর্যন্ত ভোলায় ঝড়টির তাণ্ডব চলে। এ সময়ে ভোলায় অনেক ঘরবাড়ি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মনপুরায় তিন জেলে নিখোঁজ থাকার দুই ঘণ্টা পর তাদের উদ্ধার করা হয়। জেলার প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগন মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করছেন। এখনও সঠিক তথ্য বলা যাচ্ছে না। তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

ঘূর্ণিঝড় ভোলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর