Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশে সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:০৪ | আপডেট: ১ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৪৬

ঢাকা: রেমিট্যান্স বাড়াতে সরকার নানা পদক্ষেপ নি‌লেও তা কোনো কাজে আসছে না। বরং উল্টো ডলার সংকটের ধারাবাহিকতায় কমছে প্রবাসী আয়। সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা মাত্র ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় (এক টাকা সমান ১০৯ দশমিক ৫০ টাকা ধরে) এর পরিমাণ ১৪ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা। এটি গত সাড়ে তিন বছর বা ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে, ২০২০ সালের এপ্রিলে প্রবাসীরা ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যাসন্স পাঠিয়েছিল। এরপর গত সেপ্টেম্বরের সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স আসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, বিদায়ী সেপ্টেম্বরের পুরো সময়ে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে। যা গত বছরের একই মাস (সেপ্টেম্বর) থেকে ১৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার কম। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। এর আগে গত আগস্টে প্রবাসীরা ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। যা আগের ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এবার আগের মাস আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স কমেছে ২৫ কোটি ৪৫৮ লাখ ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকে এসেছে ৩ কোটি ৫১ লাখ ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১৮ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫০ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

বিজ্ঞাপন

রেমিট্যান্স বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ

দেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিট্যান্স আয় আনতে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করেছে। পাশাপাশি সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রফতানিকারকদের ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রেমিট্যান্স বাড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়া।

রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজ করার পাশাপাশি অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ন অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করা এবং রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়েছে। তারপরেও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে।

বিভিন্ন অর্থবছরভিত্তিক রেমিট্যান্স

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠায়। এ ছাড়াও ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এক হাজার ৬৩১ কোটি ডলার ,২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এক হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

পঞ্জিকাবর্ষ হিসাবে রেমিট্যান্স

২০২২ সালে প্রবাসীরা দুই হাজার ১২৭ কোটি ডলার বা ২১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর আগে ২০২১ সালে প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ দুই হাজার ২০৭ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। অন্যদিকে, ২০২০ সালে দুই হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ২০১৯ সালে এক হাজার ৮৩৩ কোটি মার্কিন ডলার, ২০১৮ সালে এক হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, ২০১৭ সালে এক হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার, ২০১৬ সালে এক হাজার ৩৬১ কোটি ডলার এবং ২০১৫ সালে এক হাজার ৫৩১ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

টপ নিউজ রেমিট্যান্স সেপ্টেম্বর

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর