ডিএনএ টেস্টে দেড় বছর পর মিলল ধর্ষকের পরিচয়
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:২৬ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৪১
মানিকগঞ্জ: প্রায় দেড় বছর আগে এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। এতে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরে সেই কিশোরী পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। কিন্তু নবজাতকের বাবার পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামিসহ তিন জনের ডিএনএ টেস্টে বেরিয়ে আসে ওই নবজাতকের বাবা অর্থাৎ ধর্ষকের পরিচয়। জানা যায়, গ্রেফতার মোহন মিয়া নয়, কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিল নুর আলম (৩৬)।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের খাসেরচর বাজারের মজিবরের ভবনের ছাদে ছাগলের জন্য গাছের পাতা সংগ্রহ করতে যায় এক কিশোরী। এ সময় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরে কিশোরীর পরিবার জানতে পেরে সিংগাইর থানার খাসেরচর গ্রামের মৃত আছের মোল্লার ছেলে মোহন মিয়াকে আসামি করে মামলা করে। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ তারিকুল ইসলাম। পরে তিনি আসামি মোহনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন।
এদিকে, কিশোরীর গর্ভে থাকা সন্তান ২০২২ সালের ১ নভেম্বর জন্ম নেয়। পরে ওই নবজাতকের বাবার পরিচয় জানতে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে আসামিসহ একই গ্রামের সিরাজুল ও নুর আলম নামের আরও দুই ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা করান। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ডিএনএ রিপোর্টে দেখা যায়, গ্রেফতার মোহন মিয় নয়, নুর আলম (৩৬) ওই নবজাতকের বাবা।
নুর আলমের বাড়ি সিংগাইর উপজেলার খাসেরচর গ্রামে। সে ওই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। এসআই শেখ তারিকুল ইসলাম জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে আসামি নুর আলমকে খাসেরচর বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সিংগাইর থানার ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলাম জানান, গ্রেফতার নুর আলমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সে কিশোরীকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির মাধ্যমে দিতে চেয়েছে।
সারাবাংলা/পিটিএম