Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ড. ইউনুসের বিচার স্থগিতের আহ্বান সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:০০

ঢাকা: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)। তারা বলছেন, বিদেশিরা কোনো দিন আমাদের দেশের কল্যাণ চায় না। তাদের কোনো পরামর্শ গ্রহণ করা হবে না। বিদেশিদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে যারা কথা বলবে তারাও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হবে। এ ব্যাপারে কারও সঙ্গে আপোষ করা হবে না।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত ‘স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের উপর বিদেশিদের হস্তক্ষেপ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায বক্তারা এসব কথা বলেন। ইআরডিএফবি ও সাপ্তাহিক ‘উদ্যোক্তা’ যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘এই দেশের সঙ্গে অন্য কোনো দেশের তুলনা চলে না। আমরা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর হতে চাই না। আমরা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ হতে চাই। আমাদের সংবিধানে ৪টি মূলনীতি ঠিক করে নিয়েছি, সেটাই হলো আমাদের স্বাধীনতার দর্শন। এর বাইরে আমরা আপনাদের কোনো পরামর্শ শুনব না। দেশে যখন ১০ লাখ রোহিঙ্গা আসল, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেছিলেন ১৬ কোটি লোককে খাওয়াতে পারলে ১০ লাখ লোককে পারব না কেন। তিনি তাদের আশ্রয় দিয়েছেন। ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। আমরা আগামীতে বিশ্ব নেতৃত্ব দেব। এ অগ্রযাত্রা কেউ ঠেকাতে পারবে না।’

ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে গিয়ে ড. ইউনুস তার আসল চরিত্র উন্মোচিত করেছে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে একটা সাবধান বাণী উচ্চারণ করতে চাই। বিদেশিরা তো করেছে, দেশের যারা এসবে জড়িত থাকবেন তারাও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হবেন। বিবৃতি দেওয়া নোবেল বিজয়ীদের ১৪ জন শান্তিতে নোবেল পাওয়া। তারা আবার আমাদের দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। বিদেশিদের সাথে সুর মিলিয়ে যারা কথা বলবে তারাও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হবে। এ ব্যাপারে কারও সাথে আপোষ করা হবে না।’

আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মনীন্দ্র কুমার রায় বলেন, ‘আমেরিকার অভ্যাস হলো অন্য রাষ্ট্রে হস্তক্ষেপ করা। ২৫ বছর পরপর তারা কিছু গোপন নথি ফাঁস করে। সেখানে দেখা যায়, কীভাবে কিসিঞ্জার সাহেবসহ অন্যরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।’

বিজ্ঞাপন

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আলোচকদের কথার মধ্যে উঠে এসেছে, বিদেশিরা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাই। আমাদের সংগঠন ইআরডিএফবি এসবের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার। বিদেশিদের এ ষড়যন্ত্র কোনোদিন বাস্তবায়ন হবে না।’

পিরোজপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু প্রশ্নে আমরা কারও সঙ্গে আপোষ করব না। এ ব্যাপারে আমরা শক্ত আবস্থান নিতে বাধ্য হয়। আপনি যেই হোন না কেন এদেশের ইতিহাসকে স্বীকার করতে হবে। আপনাকে স্মৃতিসৌধে যেতে হবে। সামনে কিছু পরীক্ষা দেওয়ার সময় এসেছে। তাই আমাদের এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে হবে। বিদেশিরা কোনো দিন দেশের ভালো চায়নি। তাই তাদের কাছে দেশ নিরাপদ নয়।’

ইআরডিএফবি’র সভপতি অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ার্ল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ারুল কবির ও বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট ড. তৌহিদা রশীদ প্রমুখ।

সারাবাংলা/এআই/এনএস

ইআরডিএফবি এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ টপ নিউজ ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর