ড. ইউনূসের বাড়িতে পুলিশ, ‘কৌতূহলবশত’ বললেন এসপি
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৫৯ | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:০৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা না থাকলেও পত্রপত্রিকায় ইউনূসকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদের প্রেক্ষিতে ‘কৌতূহলবশত’ তার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম শফিউল্লাহ।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে নজু মিয়া হাটে মুহাম্মদ ইউনূসের বাড়ি। জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে পুলিশ তিন দফায় তার গ্রামের বাড়িতে যায়। ইউনুসের আত্মীয় মঞ্জুর আলী এবং তার এক ভাইয়ের কাছ থেকে তিনি কোথায় থাকেন, পরিবারের সদস্যদের বিষয়, গ্রামের বাড়িতে আসা-যাওয়া করেন কি না, এ সব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন।
হাটহাজারী থানা এবং জেলা বিশেষ শাখা থেকে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে এ সব তথ্য নিয়েছেন। তবে হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরে আলম বলেছেন, ইউনূসের তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই, এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনাও তারা পাননি।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূসের তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা নেই। আমরাও এমন নির্দেশনা কাউকে দিইনি। কেউ যদি গিয়ে থাকেন, সেটি কেন গেলেন উনিই বলতে পারবেন।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রামের এসপি এস এম শফিউল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘উনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি। দেশ-বিদেশের পত্রপত্রিকায় উনাকে নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা হচ্ছে। আপনারাই (সাংবাদিক) তো লিখছেন। জানতে পারলাম, উনার বাড়ি এই চট্টগ্রামেই। স্বাভাবিকভাবেই ওনার সম্পর্কে জানার একটা কৌতূহল তো থাকেই। সে জন্য খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে।’
২০০৬ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। এরপর থেকে রাজনৈতিকভাবেও আলোচনায় আসা ইউনূসের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দুর্নীতি ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে একাধিক মামলা হয়। এ সব মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি (বিবৃতি) পাঠিয়েছেন বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তি, তাদের মধ্যে শতাধিক নোবেলজয়ী আছেন। এরপর থেকে তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন।
সারাবাংলা/আরডি/একে