Monday 15 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক ভালো’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩১ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৩৯ | আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২৩ ১৫:২৩

ঢাকা: বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়তি থাকলেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক দেশের চেয়ে ভালো বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কবে শেষ হবে কেউ জানে না।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সচিবালয়ে সফররত ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘যখন আমরা দায়িত্ব নিই তখন মূল্যস্ফীতি ছিল ১২.২ শতাংশ। এরপর অধিকাংশ সময় ছিল ৯ শতাংশের মধ্যে; আদারওয়াইজ ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। কে বলেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি খারাপ পরিস্থিতিতে? বাজারে দাম বাড়বে-কমবে। যতটুকু খারাপ হয়েছে তা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে।’

বিজ্ঞাপন

এর আগে, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘উনারা একেকজন একেক খাত নিয়ে কাজ করেন। কেউ বিদ্যু-জ্বালানি, কেউ কৃষি, আবার অন্য অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করেন কেউ কেউ। তারা নিজ নিজ জায়গা থেকে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন। তারা বাংলাদেশকে লার্জেস্ট নবম কনজ্যুমার মার্কেট কান্ট্রি হিসেবে আখ্যায়িত করে বিনিয়োগ করতে চান। তারা আগ্রহ দেখিয়েছেন কৃষি, জ্বালানি ও সার্ভিস খাতে।’

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘তারা বলেছেন, ব্যবসার সুযোগ করে দিন, আমরা বিনিয়োগ করতে চাই। সেজন্য কিছু ট্যাক্সের সুবিধা চান। আমরা বলেছি, অনেক কিছু আছে আগে থেকে। নতুন সুবিধার জন্য এনবিআর’র সঙ্গে বসতে হবে। মূলত কৃষি ও সার্ভিস খাতে আগ্রহ তাদের। তারা ডিজিটাল পেমেন্টের সাপোর্ট চেয়েছেন। এ সময় তাদের বিমা কোম্পানি মেটলাইফ যে বাংলাদেশে দীর্ঘ বছর ধরে সফলভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে সেটা তুলে ধরেন।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ রয়েছে। বাংলাদেশে কোন বিজনেস ফেইল করেছে? বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ রয়েছে বলেই তো বিদেশিদের বিনিয়োগে আগ্রহ রয়েছে।’

ইআরডি সচিব শরিফা খান বলেন, ‘তারা সয়াবিন উৎপাদনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ক্যাশলেস ট্রান্সজেকশন চেয়েছেন। অর্থাৎ ডিজিটাল পেমেন্টে সহায়তা চেয়েছেন। তারা এনালাইসিস করে বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বের নবম লার্জেস কনজ্যুমার মার্কেট। এই গ্রোথে তারা শেয়ার হতে চান। সেজন্য তারা বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশে ইনসিওরেন্স পলিসি সাপোর্ট তারা যেভাবে পাচ্ছেন সেটার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।’

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম