Sunday 05 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেড় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: সাবেক ওসির বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৯ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৫৭ | আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৩ ০০:০৬

যশোর: প্রায় দেড় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসেম খানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার তদন্ত শেষে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুদক যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।

দুদক যশোর সমন্বিত জেলার উপপরিচালক মো. আল আমিন জানান, ঝিনাইদহ থেকে অবসরে যাওয়া আবুল হাসেম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে এক কোটি ৪৫ লাখ ৩৯ হাজার ১৪৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মো. আবুল হাসেম খান ১৯৭৭ সালে এসএসসি পাস করার পর পুলিশ বিভাগে কনস্টেবল হিসেবে যোগ দেন। সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পান, অবসর নেন ২০১৮ সালে। তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠলে তার পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শুরু হয়। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে বাস্তবে অমিল পাওয়া গেলে মামলা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সম্পদ বিবরণী নোটিশ পেয়ে আবুল হাসেম তার নামে স্থাবর-অস্থাবরসহ মোট ৪২ লাখ ২১ হাজার টাকার সম্পদ থাকার ঘোষণা দেন। কিন্তু তদন্তে দুদক যশোরের বিভিন্ন এলাকায় তার নামে একতলা, বহুতল ও টিনশেডসহ কয়েক ধরনের ভবন থাকার তথ্য পায়। সব মিলিয়ে তার নামে স্থাবর-অস্থাবরসহ এক কোটি ৮৭ লাখ ৬০ হাজার ১৯৯ টাকার তথ্য পায় দুদক। অর্থাৎ তিনি এক কোটি ৪৫ লাখ ৩৯ হাজার ১৪৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন।

বিজ্ঞাপন

তদন্তে আরও উঠে আসে, আবুল হাসেমের ওই সম্পদের বিপরীতে বৈধ আয় পাওয়া যায় ৫৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৬৩ টাকা। অর্থাৎ তার এক কোটি ২৯ লাখ ৯৮ হাজার ৩৮৬ টাকার সম্পদের উৎস অজ্ঞাত। দুদকের তদন্তে এসব অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেলে মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

সারাবাংলা/টিআর

অবৈধ সম্পদ দুদক দুর্নীতি দমন কমিশন সাবেক ওসি

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর