পানি নামলেও এখনো বন্ধ বিদ্যুৎ-ইন্টারনেট সরবরাহ
১০ আগস্ট ২০২৩ ১৮:২০ | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৩ ১৮:২১
বান্দরবান: গত ২ আগস্ট রাত থেকে শুরু হয় টানা বর্ষণ। লাগাতার আট দিনের টানা বর্ষণে ডুবে যায় বান্দরবানের প্রধান শহরের প্রায় ৮০শতাংশ বাড়ি ঘর। অবশেষে গতকাল বুধবার (৯ আগস্ট) থেকে বৃষ্টি কিছু কমে আসায় ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে বাড়ি-ঘরের পানি। ফলে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। অনেকেই বাড়ি ফিরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন।
এদিকে, এখনো বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ, নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট সেবা ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ। ফলে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
স্থানীয়রা বলছে, এবারের বন্যা অতীতের সব বন্যাকে হার মানিয়েছে। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবান বাজার, ডিসির বাসভবন, এসপি অফিস ও বাসভবন, এলজিইডি ও নির্বাচন কার্যালয়, জর্জ কোর্টসহ মেম্বার পাড়া, আর্মি পাড়া, হাফেজ ঘোনা, ইসলামপুর, কালাঘাটা, বালাঘাটাসহ ৮০ শতাংশ বাড়ি-ঘর পানির নিচে চলে যায়।
নিচু এলাকার পানি নেমে যাওয়ার পর সরেজমিনে দেখা গেছে, লোকজন আশ্রয় কেন্দ্র থেকে নিজেদের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু সেখানে ফিরেও আরেক বিড়ম্বনা। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে লেগে যাচ্ছেন তারা। তবে বিদ্যুৎ না থাকায় অনেকের কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। এত পানি হবে ভাবেনি কেউ। তাই মালপত্রও বের করেনি অনেকে। অনেকেই বাড়ির ভেতরে একটু উঁচু জায়গায় মালপত্র রেখে ঘর থেকে বের হয়েছিল। ঘরে ফিরে দেখে শেষ সম্বলটুকুও নষ্ট হয়ে গেছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মো. শামসুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ বছরের বন্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। মানুষের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা ভাবনার বাইরে।’ হোসনে আরা বেগম নামে এক গৃহিণী সারাবাংলাকে বলেন, ‘নিচতলা থেকে বের করে সবকিছু দোতলার উপর রাখছি। সেখানেও সব কিছু ডুবে গেছে। পরনের কাপড় ছাড়া সব ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।’
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা দীপ্ত চক্রবর্তী সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ লাইনে অনেক সমস্যা হয়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও ৪/৫দিন লাগতে পারে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, পুলিশ, সেনাবাহিনী সবাই মিলে কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত সকলের খোঁজ-খবর রাখছে। সকলের জন্য খাদ্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করছি, সবাই নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবে।’
সারাবাংলা/এমআই/পিটিএম