ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, পাতানো নির্বাচনের চেষ্টা করলে ক্ষমতাসীনরা মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়বে। আমেরিকার সঙ্গে টক্কর দিতে গিয়ে ইরাক, ইরান, লিবিয়া, আফগানিস্তান ধ্বংস হয়েছে। সুতরাং এ জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ জরুরি।
তিনি বলেন, ‘আমেরিকা শুধু শক্তিশালী রাষ্ট্র নয়। আমরা আমেরিকা থেকে তিন হাজার কোটি টাকার মালামাল আমদানি করি, পক্ষান্তরে তৈরি পোশাক, চামড়াসহ রফতানি করি সোয়া লাখ কোটি টাকার বাণিজ্যপণ্য। এ ক্ষেত্রে যদি আমরা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারি আমেরিকা, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে আমরা অর্থনৈতিক বাজার হারাব। ধ্বংসের মুখে পড়বে দেশের অর্থনীতি।’
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার সহধর্মিনী ডা. জোবাইদার রহমানের বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সাম্প্রতিক বক্তব্যে বারবার এটি স্পষ্ট হয়েছে যে দেশে গণতন্ত্র নেই। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত করে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। পরে জিয়াউর রহমানই বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে পূর্নবাসন করেছেন। এ জন্য জিয়াউর রহমানের প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা থাকা উচিত। কিন্তু তারা জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন দমাতে সরকারের নির্দেশে দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দেওয়া দুর্নীতির মামলার রায় ক্ষমতাসীনদের প্রতিহিংসার প্রতিফলন।’
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘আজকের চলমান আন্দোলন নসাৎ করার অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। লাভ নেই। এ আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। আর জনতার আন্দোলন কখনও ব্যর্থ হয় না। আন্দোলন এখন সফলতার দ্বারপ্রান্তে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, ‘বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই জাতির জন্য ‘বিষফোড়া’। এরা পুরো জাতিকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। গুম খুন করে জনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চায়। কিন্তু এবার জনগণ সমুচিত জবাব দেবে।
তিনি বলেন, ‘এ সরকার মহা দূর্নীতিতে জড়িত। এরা এ দেশ থেকে ১৪ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। এ টাকা পাচারের বিচার জনগণ একদিন করবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আনম খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে কৃষকদল নেতা আব্দুল্লাহ নাইমের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের রহমতুল্লাহ, মাওলানা শাহ নেছারুল হক, ডিইউজের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, মৎসজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান, কৃষক দলের জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।