আপিল খারিজ, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলবে
৮ মে ২০২৩ ১১:২৮ | আপডেট: ৮ মে ২০২৩ ১৭:২৪
ঢাকা: শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিল চেয়ে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আপিল (লিভ টু আপিল) খারিজ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। এর ফলে শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সোমবার (৮ মে) জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও শাহজাহান। এই তিন আসামিও পৃথকভাবে মামলা খারিজের আবেদন করেছিলেন।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪ এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। এরপর ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দিয়েছিলেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আদালত এবং এ সময় পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলে আদেশে বলা হয়। পরে সেই রুলের শুনানি শেষে গত বছরের ১৭ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন আদালত।
এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ এপ্রিল ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ হয় এবং আদেশের জন্য ৮ মে দিন ধার্য করা হয়।
আজ ড. ইউনূসের লিভ টু আপিলের খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও