বগুড়া-৪ আসনে উপনির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন ৫ প্রার্থী
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:০২
বগুড়া: বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারিয়েছেন ৫ প্রার্থী। এ নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
আইন অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এ আসনে প্রদত্ত ভোট ৭৮ হাজার ৫২৪টি। এতে জামানত না হারাতে চাইলে ৮ ভাগের ১ ভাগ ৯ হাজার ৮১৫.৫০ ভোট থেকে অন্তত ১টি ভোট বেশি পেতে হতো তাদের। ৫ প্রার্থী সেই পরিমাণ ভোট পাননি।
জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির শাহীন মোস্তফা কামাল লাঙ্গল প্রতীকে ৬ হাজার ৪৪৬ ভোট, জাকের পার্টির আব্দুর রশীদ সরকার গোলাপ ফুল প্রতীকে ৪ হাজার ৬৪ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির তাজউদ্দীন মন্ডল ডাব প্রতীকে ৩ হাজার ৫৬৭ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা দালান প্রতীকে ২ হাজার ৩৯০ ভোট ও ইলিয়াস আলী কলার ছড়ি প্রতীকে ৮৪৮ ভোট পেয়েছেন। আইন অনুযায়ী এই ৫ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থীকে ২৫ হাজার টাকা করে জামানত রাখতে হয়। আইন অনুযায়ী মোট বৈধ ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগের কম ভোট পেলে ওই প্রার্থীর জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়।’
বগুড়া-৪ আসনে উপনির্বাচনে ১১২টি কেন্দ্রে ৩ লাখ ২৮ হাজার ২৬৯ জন ভোটার ছিলেন। গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচনে ৭৮ হাজার ৫২৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে।
নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীকে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম একতারা প্রতীকে পেয়েছিলেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশফিকুর রহমান ট্রাক প্রতীকে ১০ হাজার ৭৯১ ও কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল কুড়াল প্রতীকে ১০ হাজার ৪৪২ ভোট পান।
সারাবাংলা/এমও